দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতীয় তেল ব্লকের কাছে চীনের কোস্ট গার্ড মোতায়েন

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থের কাছে কোস্ট গার্ডের জাহাজ মোতায়েনের জন্য চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে হ্যানয়। ভিয়েতনামের কূটনীতিকরা বলছেন যে তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছেন।

ভারাতের রাষ্ট্রায়ত্ব ওএনজিসি বিদেশ লি.-এর তেল স্থাপনার কাছে চীন ওই মোতায়েন করে। ভিয়েতনামের ওই অর্থনৈতিক জোনে রাশিয়ার রোজন্যাফটের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্লকটি পরিচালনা করছে বিদেশ লি.।

সূত্র জানায়, ভিয়েতনামের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনে ২০১৯ সালে এটা চীনের দ্বিতীয়বারের মতো অনুপ্রবেশ। সর্বশেষ অনুপ্রবেশে ২০টি চীনা জাহাজ সেখানে অবস্থান নেয়।

সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট এই অনুপ্রবেশ শুরু হয়। এতে ছয়টি কোস্ট গার্ড জাহাজ, ১০টি মাছধরা জাহাজ ও দুটি সার্ভিস জাহাজ, যার সঙ্গে একটি একটি এইচ৬ বম্বার, ফাইটার এয়ারক্রাফট ও মিড এয়ার রিফুয়েলার ছিলো। এগুলোকে ইকনমিক জোনের উপর উড়তে দেখা গেছে।

ভিয়েতনামের সরকারি সূত্র জানায়, পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে… এটা আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লঙ্ঘন।

সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলছে যে, ৩ জুলাই প্রথম চীনা অনুপ্রবেশটি ১-২ আগস্ট আসিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের পর প্রত্যাহার করা হয়।

সূত্র বলে, খুবই হিসেবি কাজকর্ম এবং ব্যাংকক বৈঠকে চীনা পক্ষ জানায় যে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। কিন্তু এটা নৌচলাচালের স্বাধীনতা ধ্বংসের শামিল।

চীনের এই কাজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়ার কথা হ্যানয় ভাবছে। এর মধ্যে আইনি ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদনও রয়েছে।

একজন কূটনীতিক বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে একই রকম চীন-পাকিস্তান মডেল অনুসরণ করা যেতে পারে। পাকিস্তান যদি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে পারে, তাহলে দক্ষিণ চীন সাগরের মতো আন্তর্জাতিক ইস্যু কেন তোলা যাবে না।

পরিস্থিতির ব্যাপারে ভারত ও রাশিয়াকে অবহিত করেছে ভিয়েতনাম।

কৌশলগত দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। এই সাগরের উপকূলীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম। খনিজ সমৃদ্ধ এই অঞ্চলের উপর দাবি আছে প্রত্যেক দেশের।

গত মাসে ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতর থেকে বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির উপর জোর দেয়া হয়, যার মধ্যে আইনি ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানানোর কথা বলা হয়।

No comments

Powered by Blogger.