কাশ্মীর সঙ্ঘাতে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত, অভিযোগ পাকিস্তানের

ভারত ‘পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধকৌশল’ অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করে পাকিস্তান সোমবার বলেছে, একটি ড্যাম থেকে পানি ছাড়ার বিষয়টি নয়া দিল্লি জানায়নি। এর ফলে পাকিস্তানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যকার টানাপোড়েন সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেড়েছে। বিশেষ করে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত বাতিল করায় দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাকিস্তান এতে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে বহিষ্কার করেছে।

ইসলামাবাদ সোমবার বলে, ভারত থেকে প্রবাহিত শতদ্রু নদীর পানি অপ্রত্যাশিতভাবে ছেড়ে দেয় ভারত। এটা ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার পানিচুক্তির বরখেলাপ।

পাকিস্তানের ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান মুজাম্মিল হোসাইন বলেন, তারা কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে, তারা অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে, তারা পানিসম্পদ দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। অর্থনীতি, কৃষি ও সেচব্যবস্থায় এই পানির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ চালাচ্ছে।

পাকিস্তান জরুরিভাবে পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বলেন, পাকিস্তানে পানি ছাড়ার বিষয়টি ভারত অবগত করেনি।

এ ব্যাপারে ভারতের পানি মন্ত্রণালয় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো জবাব দেয়া হয়নি।

তবে এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, বর্ষা মওসুমে পানি ছাড়াটা রুটিন কাজ। এতে চুক্তির কোনো বরখেলাফ হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে আগে পানি ছাড়ার বিষয়টি জানাতাম। এখন ওই দিন শেষ হয়ে গেছে।

পানিসম্পদ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধ রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্ততায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানিচুক্তি হয়।

ভারত গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে পানি দেয়া বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল।

হোসাইন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি পাকিস্তানে পানি বন্ধ করে দেবেন। তিনি চুক্তির তেমন ধারধারেন না।

২০১৬ সালে সিন্ধু পানি চুক্তির বৈঠক স্থগিত করার পর মোদি সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, রক্ত আর পানি একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।

ভারত জানিয়েছে, তারা পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.