ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতা ছাড়াই অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে

হোয়াইট হাউস ১৯ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে। যার মধ্যে ইসরাইল ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোও ছিল। কিন্তু জেরুজালেমকে ইসরাইলির রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতির প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সেই বৈঠক বর্জন করেছে।-খবর রয়টার্সের। ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ আলোচনার অংশ হিসেবেই এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে গাজা সংকটের সমাধান করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বহুজাতিক মানবিক ও অবকাঠামোর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনার হোয়াইট হাউসের হয়ে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার দেখভাল করছেন। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনা নিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনা তিনি কোনো কথা বলেননি। মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের প্রতিনিধি এতে উপস্থিত ছিলেন। কর্মকর্তারা বলেন, সম্মেলনে আরব দেশ ও ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা সুযোগ দেয়া হয়নি। এতে সম্ভাব্য বিদ্যুৎ, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা তা নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতে বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়া যুক্ত করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। গাজা উপত্যকার ৪৩.৬ শতাংশ লোক বেকারত্বের মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের এই কষ্টের জন্য উপত্যকার অধিবাসীরা ইসরাইলকে দায়ী করে আসছেন। ইহুদি রাষ্ট্রটির অবরোধের কারণে গাজাবাসী স্বাধীনভাবে যাতায়াত করতে পারেন না। সেখানে সরাসরি কোনো পণ্যও আসতে পারে না।

No comments

Powered by Blogger.