ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আটকে দিলেন আরেক বিচারক

ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডাকা) বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত দেশটির আরেকটি আদালত আটকে দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস গারাওফিস এই আদেশ দেন। শিশু বয়সে যেসব অভিবাসী মা-বাবার সঙ্গে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ড্রিমার্স বলা হয়।
এই অভিবাসীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন ‘ডাকা’ কর্মসূচি শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মার্চেই এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ব্রুকলিনের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিবাসীরা। তাঁদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন এখানকার অ্যাটর্নি জেনারেল। মঙ্গলবার ছিল এই আবেদনের শুনানির দিন। এ দিন বিচারক নিকোলাস গারাওফিস তাঁর আদেশে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকা কর্মসূচি মার্চ থেকে বন্ধ করা যাবে না। এর আগে সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল জজও এক আদেশে ডাকা কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। ওই আদেশে আদালত বলেছিলেন, মামলা যত দিন চলবে তত দিন এই কর্মসূচি চলবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন পরিবর্তন করা হবে কি না, তা নিয়ে বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্ক চলছে। এদিকে সানফ্রান্সিসকোর বিচারকের দেওয়া আদেশ বলবৎ থাকবে কি না, তা নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার আদেশ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ডাকা কর্মসূচি নিয়ে শুনানি করবেন কি না, তা–ও ওই দিনই জানাবেন সর্বোচ্চ আদালত।
পর্নো তারকাকে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন গত মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন, তিনি পর্নো তারকা স্টেফানি গ্রেগরি ক্লিফোর্ডকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন। তবে এই অর্থ ট্রাম্পের নয়, তাঁর নিজের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি এ কথা বলেছেন। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, ২০০৬ সালে স্টেফানির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ট্রাম্প। তখন তাঁর একমাত্র পরিচয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ওই ঘটনার চার মাস আগেই বর্তমান ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। স্টেফানিও একই দাবি করেছেন। তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে ট্রাম্প তাঁকে ওই অর্থ দিয়েছিলেন বলে গত মাসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। নিউইয়র্ক টাইমসকে মাইকেল কোহেন বলেন, তিনি স্টেফানিকে বেআইনিভাবে কোনো অর্থ দেননি। তবে আইনসংগতভাবে এই অর্থ দেওয়ার কারণ তিনি জানাননি। ট্রাম্প বিষয়টি জানেন কি না, সে বিষয়েও কিছু বলেননি কোহেন। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের এই আইনজীবী বলেন, ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশন বা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সঙ্গে এই আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক নেই। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাকে কোনো কিছুর পরিশোধ হিসেবে ওই অর্থ দিতে বলা হয়নি। ক্লিফোর্ডকে দেওয়া অর্থ আইনসংগত ছিল। এটা প্রচারণার কোনো অনুদান অথবা প্রচারণা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় ছিল না।’

No comments

Powered by Blogger.