ইসরাইলকে বোকামি না করতে হুঁশিয়ারী হিজবুল্লাহর

ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণের দাবি নাকচ করেছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রোনান মেনলিস দাবি করেছেন, হিজবুল্লাহ ও ইরান যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা নির্মাণের চেষ্টা করছে এবং ওই সব কারখানায় লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে। হিজবুল্লাহর সংসদীয় দলের নেতা মোহাম্মাদ রা’দ বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের এ বক্তব্য একেবারেই অতিরঞ্জন। তারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে কোনঠাসা অবস্থা থেকে নিজেদেরকে বের করে আনার চেষ্টা করছে এবং নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা করছে। হিজবুল্লাহর ওই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন এমন সব যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে যা দিয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়া সম্ভব।’ এ অবস্থায় লেবাননে হামলার মতো বোকামি না করতে ইসরাইলকে পরামর্শ দেন মোহাম্মাদ রা’দ। ২০০৬ সালে ৩৩ দিনের যুদ্ধে হিজবুল্লাহর কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ইহুদিবাদী ইসরাইল নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে নানা ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করে আসছে।
পরবর্তী যুদ্ধে হিজবুল্লাহ মহাসচিবকে হত্যা করা হবে: ইসরাইল
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভবিষ্যত যুদ্ধে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হবে। গত ২৭ নভেম্বর ইসরাইলের এইলাত শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোনেন ম্যানেলিস একথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভবিষ্যত যুদ্ধে বিজয়ের কোনো পরিষ্কার চিত্র নেই। তবে হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার টার্গেট হবে মূল বিষয়।’ ইহুদিবাদী এ সেনা মুখপাত্র তার ভাষায় বলেন, ‘হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহর সামরিক অভিযানের ওপর প্রভাব ফেলবে।’ ২০০০ ও ২০০৬ সালে ইসরাইলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর দুটি যুদ্ধ হয়েছে এবং দুটি যুদ্ধেই হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ তার সাম্প্রতিক প্রতিটি ভাষণে বলেছেন, যদি ভবিষ্যতে লেবাননের ওপর আর কোনো সামরিক আগ্রাসন চালানোর মতো বোকামি করে ইসরাইল তাহলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। গত মাসে তিনি এক ভাষণে বলেন, ইসরাইল জানে না ভবিষ্যত যুদ্ধে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে।

No comments

Powered by Blogger.