যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ বিপদে ফেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণার পর আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে মার্কিন সেনাদের রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি নিয়ে কূটনীতিক এবং বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানি কূটনীতিকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিপরীতে এটা একটা ভালো কৌশল। আমাদের এই একটি অস্ত্র আছে।’ যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে এসব পথ দিয়ে আফগানিস্তানে খাদ্য ও যন্ত্রপাতি আনা-নেয়া করে থাকে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে পাকিস্তান বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।
আর এর পর থেকে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো সরকারকে এ উদ্যোগ নিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন কারণে যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তানের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে পাকিস্তান। এ ছাড়া পাকিস্তানকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়ার ট্রাম্পের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশটি। ইসলামাবাদ বলছে, তারা নিজ দেশ ও বিশ্বের শান্তি বজায় রাখতে নিজের সম্পদ ব্যবহার করে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই করে আসছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তান স্থলপথে বা আকাশ পথে সরবরাহ পথ বন্ধ করার কোনো আভাস দেয়নি।  তিনি দাবি করেন, ট্রাম্পের সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণার পরও আফগানিস্তানে সামরিক রসদ সরবরাহের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। ম্যাটিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রধান কমান্ডার জেনারেল যোশেফ ভোটেল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে কয়েক দিন আগেই কথা বলেছেন।

No comments

Powered by Blogger.