এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টার বন্ধ

আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে স্ব স্ব আসন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এর অন্যথা পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতেও দেয়া হবে না। কোনো পরীক্ষার্থীর হাতে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা হবে। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা সূষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুষ্ঠু, নির্বিঘ্ন ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আরো কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে থেকে শুরু করে সব পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। সভায়,পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে পরীক্ষা চলাকালীন দেশে ইন্টারনেট ও ফেইসবুক বন্ধ রাখার ব্যাপারেও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কমিশনের (বিটিআরসি) সাথে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা টেপযুক্ত বিশেষ খামে পরিবহন করা হবে। বহু সেট প্রশ্ন প্রস্তুত রাখা, নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্ন না খোলা, পিন কোড ব্যবহার, অনলাইনে বা ইউএসবি ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানো এবং পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্র এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় কি না তা নিয়ে বিটিআরসির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রশ্নফাঁসসহ এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে বা তৎপরতায় জড়িত থাকেন তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এবং শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানদের বিশেষ নির্দেশনা দেন। উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই পাবলিক পরীক্ষায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। বিগত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ, ড. অরুনা বিশ্বাস, ও জাবেদ আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিজি প্রেসের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.