রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট চলবে

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এই সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোধ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম। শুনানিকালে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। ২০০৭ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে এটিকে আইনে পরিণত করে। এই আইন অনুযায়ী ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। আর ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপ-ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি। পরে এ ধরনের আরও দু’টি রিট করা হয়। তিন রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১১ মে রায় দেন হাইকোর্ট। সেই রায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১১টি ধারা ও উপধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। গত বছর ১৪ মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। ২১ মে থেকে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর কয়েক দফা স্থগিতাদেশ দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধে সরকারকে বারবার দিয়ে আসছে আপিল বিভাগ।

No comments

Powered by Blogger.