‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন মানে তঁাকেই ক্ষমতায় রাখা’

‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করা মানে তাকে পুনরায় ক্ষমতায় রাখা।’ আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। ২৩ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক নগরীর এক আত্মীয়ের বাসায় প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে পাপিয়া বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন চাই। কিন্তু সরকার আলোচনায় মোটেই আগ্রহী নয়। এ অবস্থায় আমাদেরকে অবশ্যই ইতিবাচক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের দিকে যেতে হবে। ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করা মানে তাকে পুনরায় ক্ষমতায় রাখা।’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই। গণতন্ত্রহীনতা কিংবা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপ সম্পর্কেও কোনো কথা বলা যায় না। ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশে এসে শেখ হাসিনার অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন।’ ভারতের সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো চুক্তিই পুরোপুরি প্রকাশ করেনি।
দেশবাসী জানেন না, ওই সব চুক্তিতে কী লেখা আছে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিই দেশবাসী মেনে নেবে না। আমরা জনগণের জন্য, দেশের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে আমাদের কাজে অবশ্যই জনমতের প্রতিফলন থাকবে।’ বাংলাদেশে ভারতীয় প্রচারমাধ্যমের আগ্রাসন সম্পর্কে পাপিয়া বলেন, ‘এ আগ্রাসন রোধ করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার এ ক্ষেত্রে একেবারেই নীরব। এ আগ্রাসন আমাদের পরিবার, সমাজ এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে শেষ করে দিচ্ছে। সমাজ ব্যাধিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির ওপরও মারাত্মক চাপ পড়ছে।’ এ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছি না। আমাদের তো কথা বলারই সুযোগ নেই, আন্দোলন তো দূরের কথা। এটা বন্ধ করতে হলে দেশপ্রেমিক সরকারকে ক্ষমতায় আসতে হবে। কমপক্ষে উভয় দেশের মধ্যে সমসংখ্যক সফর বিনিময়, সমসংখ্যক টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের ব্যবস্থা এবং আমাদের সমাজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারকারী টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে।’ উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী পাপিয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সাংসদ হারুন অর রশিদের সহধর্মিণী। তাঁরা উভয়ে বর্তমানে আমেরিকা সফরে রয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.