বিলুপ্তির পথে ইউনেস্কো স্বীকৃত সিলেটের শীতলপাটি

বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত পেল সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ইউনেসকোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ (আইসিএইচ) কমিটির ১২তম অধিবেশনে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ২০১৭ (দি ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউমানিটি) হিসেবে শীতল পাটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ২০১৬ সালে শীতল পাটিকে ইউনেসকোর ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দি ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর ১২তম অধিবেশনে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা উত্থাপন করে। রঙিন বেতের বুননে তৈরি শীতলপাটি আবহমান বাংলার লোকশিল্পের এক অনন্য ঐতিহ্য। গ্রামবাংলার কারও ঘরে অতিথি এলে শীতলপাটি বিছিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ বহুকালের। তবে সম্প্রতি এ ঐতিহ্যে ছেদ পড়েছে। বাজারজাতকরণ, মূলধনের অভাব, ন্যায্যমূল্য ও মুর্তা বেতের অভাবে বিলুপ্তির পথে মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। আধুনিকতা, বাজারজাতকরণ, মূলধন, নায্যমূল্য ও মুর্তা বেতের অভাবে বিলুপ্তির পথে মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি শিল্প। জেলার বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলার হস্তশিল্পের কারিগররা কয়েক যুগ ধরে শীতলপাটি বুনে চলেছেন, যা দেশ এবং বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। কিন্তু ন্যায্য পারিশ্রমিক এবং মুর্তা বেতের অভাবে এখন আর আগের মতো পাটি বুনতে পারেন না শিল্পীরা। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় চলে যেতে হচ্ছে তাদেরকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলা শীতলপাটির জন্য বিখ্যাত। দু’টি উপজেলার হস্তশিল্পের কারিগররা কয়েক যুগ ধরে শীতলপাটি বুনে আসছেন। একটা সময় ছিলো যখন এ অঞ্চলের ঘরে ঘরে শীতলপাটি বোনা হতো। অনেক মানুষের কাছে এ কুঠির শিল্পই ছিলো আয়ের একটি বড়ো উৎস। জেলার বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ও তালিমপুর ইউনিয়নের শীতলপাটি শিল্পের ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। বাজারজাতকরণের সমস্যা, মূলধন ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বংশপরম্পরায় এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই চলে গেছেন অন্য পেশায়।
সম্প্রতি উপজেলার দাসেরবাজার ইউপি’র দক্ষিণ লঘাটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গুটিকয়েক বাড়িতে পাটি বুননের ব্যস্ততা। ঘরের বারান্দায় পাটির সুনিপুণ নির্মাণ চলছে বিরামহীনভাবে। নানা আকৃতির পাটি সূক্ষ্ম বুননে পাচ্ছে নান্দনিক শিল্পরূপ। তবে নেই আগের সেই জৌলুস। দক্ষিণ লঘাটি গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব লাল মোহন দাস জানালেন, আগে পাটি বানাইয়া (তৈরি করে) সংসার চলতো। এখন আর চলে না। জিনিসপত্রের দাম বেশি। আমরা যে কয়জন পাটি বানাই, তারা আর কোনো কাম (কাজ) করতাম পারি না এর লাগি কষ্ট করে আছি। ৪-৫ হাত একটা পাটি বানাইতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। রোজ (দৈনিক শ্রম) ও দামের হিসেবে লাভ অয় না। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্য পাইছি না। সরকারি সহযোগিতা পাইলে আমরা ভালোভাবে এই পেশারে চালাইয়া নিতাম পারতাম। একই গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব মিন্টু দাস ক্ষোভের সাথে জানালেন, অনেকবার আইয়া ছবি উঠাইয়া লইয়া যাইন। সরকারি লোক পরিচয় দেইন। কিন্তু কোনো সাহায্য পাই না। ৮০ টেকা (টাকা) দাম (দর) থাকিয়া পাটি বেচি (বিক্রি করি)। আগে পাটির দাম কম ছিলো। বিক্রিও বেশি হতো। তাই চলা যাইতো। এখন দাম বেশি হলেও বিক্রি কম। বাপ-দাদার পেশা। তাই ছাড়তেও পারি না। আমরারে দেখার কেউ নাই। পাটি শিল্পের সাথে জড়িতরা জানিয়েছেন, উপজেলার দাসেরবাজার ও তালিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব ও দক্ষিণ লঘাটি, ইউনিয়নের পানিসাওয়া, গুলুয়া, গোবিন্দপুর, বাগিরপার, টুকা, মহানারী, কান্দিগ্রাম, মালিশ্রী, গগড়া, বড়ময়দান, দ্বিতীয়ারদেহীসহ অধিকাংশ গ্রামের হিন্দু পরিবার এই শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। সময়ের বিবর্তনে এখন বেশিরভাগ পাটিশিল্পীর ব্যবসার প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে। একসময় এই এলাকাগুলোতে তৈরি হতো নানা ধরণের পাটি। তবে নানা সংকট সত্ত্বেও প্রাণের টানে কিছু পাটিশিল্পী বাঁচিয়ে রেখেছেন পূর্বপুরুষের এ শিল্পটি। এককালে এ অঞ্চলের অনেকেরই প্রধান পেশাও ছিলো পাটি তৈরি করে বিক্রি করা। কিন্তু বাজারজাতকরণে সমস্যা, প্রকৃত মূল্য না পাওয়া এবং মূলধন সংকটের কারণে এ শিল্পের প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে। যেভাবে তৈরি হয় পাটি : মুর্তা নামক এক প্রকার সরু গাছের ছাল দিয়ে এই পাটি তৈরি করা হয়। গাছ কেটে ধারালো দা বা বটি দিয়ে গাছটিকে লম্বাভাবে ৪/৫ টুকরো করে গাছের ছাল বা বেত বের করা হয়। অতঃপর এক ঘণ্টা বেতগুলো টিনের পাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে সেদ্ধ করার পর তুলে এনে রোদে শুকিয়ে পুনরায় ঠা-া ও পরিষ্কার পানিতে ১০/১৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে তোলা হয়। এরপরই মুর্তা বেত পাটি তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য হয়। বেতে রং দিয়ে পাটিকে নানা চিত্রে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করা হয়। পাটির ব্যবহার : সাধারণত মুর্তা বেতের তৈরি শীতলপাটি কিংবা অন্যান্য জাতের সকল প্রকার পাটি গরমের দিনে বিছানার ওপর ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান-যেমন বিয়ে, অন্নপ্রাসন, শ্রাদ্ধে নতুন পাটির ব্যবহার অপরিহার্য।
বিবাহে কন্যাদানের সময়ও পিতা-মাতা অন্যান্য নানা সামগ্রির সাথে একখানা শীতলপাটি বা নকশি করা রঙ্গিন পাটি উপহার দিয়ে থাকেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও নামাজ পড়া কিংবা অন্যান্য পারিবারিক কাজে পাটি ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও রঙিন কাজ ছাড়াই কিছু পাটি তৈরি করা হয় নিত্যকাজে ব্যবহারের জন্যে। পাটিশিল্পীরা জানান, একসময় দাসেরবাজারের তৈরি রূপালি বেতের শীতলপাটি নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ স¤্রাট আওরঙ্গজেবকে উপহার দিয়েছিলেন। এসব পাটি ধনি-গরিব সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব। বর্তমান আধুনিক প্লাস্টিকের তৈরি মাদুর স্বাস্থ্যসম্মত না হলেও পাটির বিকল্প হিসেবে বাজারে এটি সয়লাব হয়েছে। পাটির নাম, তৈরির সময়কাল ও দাম : মুর্তা বেতের পাটি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-শীতলপাটি, রঙ্গিন বেতের পাটি, সরু বেতের পাটি, প্রার্থনা কিংবা উপাসনার জন্য কমল-কোষ পাটি ইত্যাদি। সাড়ে ৩ হাত ও পৌনে ৫ হাত মাপের একটি সাধারণ পাটি তৈরি করতে ৭-৮ দিন সময় লাগে। বিক্রি হয় ১ হাাজার থেকে ১২০০ টাকায়। ৪ থেকে ৫ হাত একটি পাটি তৈরি করতে সময় লাগে ৮-১০ দিন। দাম পাওয়া যায় ২ হাজার টাকা থেকে ২৫০০ টাকা।
পাটির হাট : বিভিন্ন বাড়ি থেকে তৈরি পাটি পুরুষ সদস্যরা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। উপজেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দাসেরবাজারে নানা জাতের পাটির বিশাল হাট বসে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার। একসময় এ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের ২ দিনে পাইকারি ও খুচরা মিলে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার পাটি বিক্রি হতো। এখন সেই পরিমাণ বিক্রি হয় না। দাসেরবাজার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে বিচ্ছিন্নভাবে পাটি বিক্রি করেন অনেকেই। এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহেল মাহমুদ বুধবার রাতে জানালেন, সরকার শিল্পবান্ধব। এই শিল্প একটি হস্তশিল্প। এটির বাজারজাতকরণ একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা সেটি করতে পারলে এখানে বিশাল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এদের সরকারি ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় এনে পাটিশিল্পের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ধুনিজুড়া; ফতেহপুর ইউনিয়নের বিলবাড়ি, তুলাপুর, আবদুল্লাপুর, জাহিদপুর; মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মেদিনীমহল, জুগিকোণা, মুনিয়ারপাড়সহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার এ পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিন্তু উপযুক্ত মূল্যের অভাব, বাজারজাতকরণের সমস্যা, মূলধনের ঘাটতি এবং মুর্তা বেতের অভাবে এখন আর আগের মতো পাটি বুনেন না এখানকার শিল্পীরা। তাই বাধ্য হয়েই অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন তারা। আমরা এই পেশা ছেড়ে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে বর্তমানে শ্রমিকের কাজ করছি।
শীতলপাটির জন্য বিখ্যাত রাজনগর উপজেলার ধুনিজুড়ার শীতলপাটির কারিগর হরেন্দ্র দাশ জানান, আমি ২০১৩ সালে সরকারিভাবে জাপান থেকে শীতলপাটি তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি। একসময় গ্রামের শতাধিক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস ছিলো এ পাটি বুনন। বর্তমানে আমাদের গ্রামে হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার কোনোভাবে টিকিয়ে রেখেছে এ ঐতিহ্যকে। তিনি আরও জানান, আমার পূর্বপুরুষরা এ কাজ করে গেছেন, তাই পেশা টিকিয়ে রাখতে আমাকেও এ কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু পরিশ্রম অনুযায়ী বাজারে উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় এ কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন কারিগররা। তাছাড়া আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মূলধনও বিনিয়োগ করতে পারেন না অনেকে। এমনকি ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় না। ফলে এ পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশার দিকে জড়াচ্ছেন অনেকেই। ধুনিজুড়া গ্রামের মিনতি দাশ জানান, বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের প্রায় সবাই এ কাজ করতেন। তাদের কাছ থেকে আমিও শিখেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ না করায় এখন প্রায় ভুলতে বসেছি পাটির বুনন। একই গ্রামের অরুণ দাশ জানালেন, ছেলেমেয়েরা এখন স্কুল-কলেজে পড়ছে। এটা শেখার প্রতি তাদেরও তেমন কোনো আগ্রহ নেই। শীতলপাটির জন্য এ গ্রামের সুনাম বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশের কাছেই অজানা। তাই এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি। স্থানীয় পাটিশিল্পীরা জানালেন, মুর্তা বেত দিয়ে তৈরি শীতলপাটির কদর ছিলো সব জায়গায়। একসময় সিলেট অঞ্চলের বিয়েতে সব সরঞ্জামের সঙ্গে একটি নকশি শীতলপাটি দেওয়ার রেওয়াজ ছিলো। বর্তমানে এ রেওয়াজটি আর নেই। রঙিন মিহি বেতে তৈরি পাটিতে মসজিদ-মন্দির, হাঁস-মুরগি, পাখি, বিড়াল, বক, হরিণের ছবিসহ বিভিন্ন শৈল্পিক নকশা তোলা হতো। কারিগররা আরও জানান, একটি সাধারণ পাটি বুনতে সময় লাগে ১০-১৫ দিন। পাটি বিক্রি করতে হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। আর উন্নত মানের পাটি বুনতে সময় লাগে দেড়মাস। এটি বিক্রি করতে হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায়। শীতলপাটি শিল্প পরিষদের সভাপতি বেনু ভূষণ দাশ জানান, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে এ পাটির তেমন চাহিদা নেই।
তবে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, যশোর ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসে। সে অনুযায়ী পাটি বুনে তাদের কাছে পাঠাই। মূলধন ও প্রশিক্ষণের অভাবে আমরা এ শিল্পকে বিকশিত করতে পারছি না। সরকারি উদ্যোগে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে অথবা সুদবিহীন ঋণ দেয়া হলে এ শিল্প দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোহিদুজ্জামান পাবেল জানান, এখানকার পাটিশিল্পীদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া এখানকার ঐতিহ্যও ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেয়া হবে। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বিসিকের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন বিসিক মৌলভীবাজারের উপ-ব্যবস্থাপক এএইচএম হামিদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, এ পণ্যকে ধরে রাখতে হলে এর গুণগত মান আরও বৃদ্ধি করতে হবে। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করারও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ প্রদান, সঠিক বাজারমূল্য নির্ধারণ ও মুর্তা চাষ বাড়ানো হলে এ শিল্পকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন এ শিল্পের সাথে জড়িতরা।

No comments

Powered by Blogger.