উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসঙ্ঘের নতুন নিষেধাজ্ঞা

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আনা আরো কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আরোপের একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে। দেশটির পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে চীন ও রাশিয়ার সম্মতিও মিলেছে। এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ম নিষেধাজ্ঞা আরোপ। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিয়ং ইয়ংকে তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছিল আলোচনায়। তারপরেও সর্বসম্মতিক্রমেই অতীতের তুলনায় আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন এবং রাশিয়াও।
উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরেই আনা হয় এ প্রস্তাব। এবার আঘাত আনা হয়েছে দেশটির লাইফ লাইনের ওপর। দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ পেট্রোলিয়াম আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে শুক্রবারের বৈঠকে। ২০১৬ তে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, যা এবার বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ব্যারেলে। আর অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে পরিমাণটি বছরে ৪ মিলিয়ন ব্যারেল। জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালে বলেন যে, সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত পিয়ং ইয়ং-কে সেই বার্তাই দেয় যাতে করে আবারো সীমা লঙ্ঘন করলে তারা আরো কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে। এবারের নিষেধাজ্ঞায় বিভিন্ন দেশে কর্মরত উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের আগামী ২৪ মাসের মধ্যে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রবাসী আয় দেশটির অর্থনীতির অন্যতম উপাদান। একইসাথে যন্ত্রাংশ ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রফতানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালিকায় আছে দেশটির তৈরি পোশাক সামগ্রীও।

No comments

Powered by Blogger.