ট্রাম্পের জামাতার সাথে সৌদি যুবরাজের গোপন সমঝোতা!

ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও পরামর্শক জ্যারেড কুশনার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করেছেন। কিন্তু এই বৈঠকের কথা জানেন না মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের অর্থায়নে এই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে বলে কুশনার-মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘গোপন বৈঠকে’ আলোচনা হয়েছে। তিনটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটা দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এই বৈঠক নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ কুশনার এই বিষয়ে পররাষ্ট্র দফতর ও উচ্চপদস্থ কূটনীতিকদের কিছুই জানাননি। টিলারসনের আশঙ্কা, যদি এই বৈঠক ব্যর্থ হয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়বে। শনিবার জেরুসালেম অনলাইনে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াকভ নাজেল বলেছিলেন, সৌদি আরব ইরানের সাথে প্রভাব বিস্তারের ছায়াযুদ্ধে এতটাই মগ্ন যে তারা জেরুসালেমের সাথে ফিলিস্তিনিদের দূরে ঠেলে দেয়ার কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবে না।
সিরিয়ায় ব্রিটেনের সহায়তা পাচ্ছে উগ্রপন্থীরা
বিবিসি
সিরিয়ায় ব্রিটেনের দেয়া সহায়তা উগ্রপন্থীদের হাতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর একটি বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্প স্থগিত করেছে ব্রিটিশ সরকার। বিবিসি প্যানারোমার অনুসন্ধানে বিষয়টি উদঘাটিত হয়েছে। সিরিয়ায় ব্রিটেনভিত্তিক একটি পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা নিষ্ঠুর দণ্ডাদেশ দেয়া একটি আদালতের সাথেও কাজ করছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সহযোগিতার অভিযোগগুলো ‘অত্যন্ত গুরুত্বের’ সাথে গ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনাল ওই প্রকল্পটি চালায়। তারা অত্যন্ত জোরালোভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর ফ্রি সিরিয়ান পুলিশ (এফএসপি) বাহিনীটি গঠন করা হয়েছিল। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবে, এমন উদ্দেশ্যে এফএসপি গঠন করা হয়। ২০১৪-এর অক্টোবর থেকে এই প্রকল্পটি চালাচ্ছে অ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনাল (এএসআই)। ছয়টি দাতা রাষ্ট্র এই প্রকল্পের জন্য অর্থ দিচ্ছে, ব্রিটেন তাদের অন্যতম।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সিরিয়ার আলেপ্পো, ইদলিব ও দারা প্রদেশের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় নিরস্ত্র বেসামরিক পুলিশ বাহিনী হিসেবে এফএসপি গঠন করা হয়েছে। তারা উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সাথে কোনো ধরনের সহযোগিতা করবে না এমন নির্দেশনাও ছিল। কিন্তু প্যানারোমার অনুসন্ধানে অনেক কিছুই উঠে আসে যার নির্দেশনা ছিল না এবং যা হওয়ারও কথা ছিল না। অনুসন্ধানের পর ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্যানারোমার বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে এমন আদালতের সাথে সহযোগিতা করছে পুলিশ, যে আদালতের এক রায় অনুযায়ী দুইজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.