দামেস্কে ইসরাইলি বিমান হামলা

ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে। ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানিয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক রামি আবদেল রহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ইসরাইলী বাহিনী দামেস্কের কাছের জামারা এলাকাসহ একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র ও অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এইসব অস্ত্র গুদামে সিরিয়া ও তার মিত্র বাহিনীর অস্ত্র মজুদ রয়েছে।’ তবে হামলার সঠিক লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপি’র সংবাদদাতা দামেস্কে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। সিরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম বলছে, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে।’ সিরিয়ায় ব্রিটেনের সহায়তা পাচ্ছে উগ্রপন্থীরা বিবিসি
সিরিয়ায় ব্রিটেনের দেয়া সহায়তা উগ্রপন্থীদের হাতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর একটি বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্প স্থগিত করেছে ব্রিটিশ সরকার। বিবিসি প্যানারোমার অনুসন্ধানে বিষয়টি উদঘাটিত হয়েছে। সিরিয়ায় ব্রিটেনভিত্তিক একটি পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা নিষ্ঠুর দণ্ডাদেশ দেয়া একটি আদালতের সাথেও কাজ করছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সহযোগিতার অভিযোগগুলো ‘অত্যন্ত গুরুত্বের’ সাথে গ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনাল ওই প্রকল্পটি চালায়। তারা অত্যন্ত জোরালোভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর ফ্রি সিরিয়ান পুলিশ (এফএসপি) বাহিনীটি গঠন করা হয়েছিল। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবে, এমন উদ্দেশ্যে এফএসপি গঠন করা হয়। ২০১৪-এর অক্টোবর থেকে এই প্রকল্পটি চালাচ্ছে অ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনাল (এএসআই)। ছয়টি দাতা রাষ্ট্র এই প্রকল্পের জন্য অর্থ দিচ্ছে, ব্রিটেন তাদের অন্যতম।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সিরিয়ার আলেপ্পো, ইদলিব ও দারা প্রদেশের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় নিরস্ত্র বেসামরিক পুলিশ বাহিনী হিসেবে এফএসপি গঠন করা হয়েছে। তারা উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সাথে কোনো ধরনের সহযোগিতা করবে না এমন নির্দেশনাও ছিল। কিন্তু প্যানারোমার অনুসন্ধানে অনেক কিছুই উঠে আসে যার নির্দেশনা ছিল না এবং যা হওয়ারও কথা ছিল না। অনুসন্ধানের পর ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্যানারোমার বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে এমন আদালতের সাথে সহযোগিতা করছে পুলিশ, যে আদালতের এক রায় অনুযায়ী দুইজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.