১৪৪৭ আনসার সদস্যকে পুনর্বহালের নির্দেশ

১৯৯৪ সালে  সংঘটিত আনসার বিদ্রোহের অভিযোগে চাকরিচ্যুত ১৪৪৭ আনসার সদস্যকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়,  বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া এসব সদস্যদের মধ্যে যাদের  বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা আছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। তবে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে তারা যত দিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার এ সংক্রান্ত রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাহাবুদ্দিন খান লার্জ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে তা বিদ্রোহের রুপ নেয়। পরে সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মামলার অভিযোগ থেকে ১৪৪৭ জন আনসার সদস্য খালাস পান। ওইসব সদস্যর মধ্যে আব্দুল করিম, ড্রাইভার শফিকসহ ১৪৪৭ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.