'স্বেচ্ছায় শয্যাসঙ্গী হন চরিত্রহীন অভিনেত্রীরা'

কাস্টিং কাউচ এখন আর নেই। কেন নেই? কারণ এমপি মহোদয় জানেন। নিজেও একসময় অভিনেতা ছিলেন কিনা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই উত্তরটি দিয়েছেন ভারতীয় পার্লামেন্টে বাম-সমর্থিত স্বতন্ত্র এমপি ইনোসেন্ট ভারিদ থেক্কেতালা। তার যুক্তি, কাস্টিং কাউচের ধারণা এখন আর মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নেই-ই। কারণ চরিত্রহীন মহিলারা স্বেচ্ছায় পুরষদের শয্যাসঙ্গী হয়ে থাকেন। তাদের নিজের শরীর দিয়ে থাকেন।
অবশ্য ইনোসেন্টের মতে, সব মহিলা অভিনেত্রী এমনটা করেন না। যাতের নিজস্ব প্রতিভা নেই তারাই এমন পথ বেছে নেন বলে দাবি এমপির। তিনি মনে করেন, কেরিয়ারে সাফল্য পেতে এই পথ বেছে নেয়াটা মহিলাদের কাছে এখন সহজ উপায়। তাই এই উপায়ই বেছে নেন তারা। অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি আর্টিস্ট অর্থাৎ আম্মার প্রশাসনিক প্রধান ইনোসেন্ট। তার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের মহিলা সংগঠনগুলো। অনেকেই ইনোসেন্টের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। আম্মার প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্বে তার মতো এক ব্যক্তির থাকার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। একইসঙ্গে মহিলা সংগঠনগুলোর দাবি, কাস্টিং কাউচ স্বমহিমায় বর্তমান। আর একাধিক মহিলাকে এখনো এর শিকার হতে হয়।
এমনিতেই কেরলের এক অভিনেত্রীর ধর্ষণের মামলা নিয়ে জেরবার মালয়ালম চলচ্চিত্র মহল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে তামিল সুপারস্টার দিলীপকে। গ্রেফতার করা হয়েছে পুলসর সুনি নামে এক ব্যক্তিকে। ঘটনার পর আম্মার পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করে সাফাই দিতে হয় মামুত্তি, মোহনলালের মতো সুপারস্টারকে। কিন্তু ফের চাঞ্চল্য ছড়াল আম্মা প্রধান ইনোসেন্টের মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই।
সূত্র : ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.