নতুন সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরলেন রানি

জোট প্রশ্নে কোনো সুরাহা হওয়ার আগেই নতুন সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। নতুন সরকারের পরিকল্পনায় ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। আর সরে এসেছেন নির্বাচনে দেওয়া নানা বিতর্কিত প্রতিশ্রুতি থেকে।
রীতি অনুযায়ী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গতকাল বুধবার ব্রিটিশ সংসদের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে দেওয়া ভাষণে সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরে নতুন সরকারের সূচনা করেন। এদিনই নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে রানির ভাষণের ওপর বিতর্ক শুরু হয়। ২৭ জুন চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে এ ভাষণ পাস হলে সরকারে টিকতে পারবেন মে।
৮ জুন অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে থেরেসা মে মাত্র ১০ আসনে জয়ী উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্টস পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে সমঝোতা করে সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। কিন্তু গত ১২ দিনেও সেই সমঝোতা হয়নি।
সাধারণত প্রতিবছর রানির ভাষণের মাধ্যমে সরকার সংশ্লিষ্ট বছরের আইন প্রণয়ন ও আইন সংস্কারসংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে রানির আগামী বছরের নির্ধারিত ভাষণ বাতিল ঘোষণা করে বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে আগামী বছর খুব ব্যস্ত যাবে। তাই এবার সরকার দুই বছরের পরিকল্পনা একসঙ্গে তুলে ধরেছে।
৯৫ বছর বয়সী রানি এবার সংসদে তাঁর ৬৪তম ভাষণ দিলেন। রানির ভাষণে মে মোট ২৪টি আইন প্রণয়ন ও সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। তার ৮টিই ব্রেক্সিটসংক্রান্ত। ইইউ ছাড়ার পর ব্রিটেনের নিজস্ব অভিবাসন, বাণিজ্য, কৃষি, বিচারব্যবস্থা-সংক্রান্ত এসব আইন করা হবে। বাকি বিলগুলোর বেশির ভাগই আগের মেয়াদের, যা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কারণে সম্পন্ন করা যায়নি।
মে এত দিন প্রয়োজনে সমঝোতা ছাড়াই ইইউ ছাড়ার কথা বলে এলেও রানির ভাষণে সেই ইঙ্গিত নেই। ভাষণে বলা হয়েছে, ২০১৮
সালের এপ্রিলে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করবে যুক্তরাজ্য। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উগ্রবাদ দমনে নতুন কমিশন গঠন করা হবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে চলবে মের সরকার।

No comments

Powered by Blogger.