বর্তমান সংবিধান গণতন্ত্রের সঠিক চর্চায় কতটা কার্যকর

পাকিস্তানে সামরিক শাসন বহাল থাকাকালীন লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারের অধীন ১৯৭০ সালে যে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ১৬৭টিতে জয়লাভ করেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা পরিচালনার অধিকার অর্জন করে। ১৯৬৯ সালে আয়ুববিরোধী আন্দোলন সমগ্র পাকিস্তানে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে তৎকালীন সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। তিনি ক্ষমতা দখল করে আইয়ুব খানের শাসনামলে প্রণীত ১৯৬২ সালের সংবিধান বাতিল করেন এবং ঘোষণা দেন, লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারের অধীন পাকিস্তানে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ওই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের কাজ হবে পাকিস্তানের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করা। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পাশাপাশি পাকিস্তানের ৫টি প্রদেশে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে প্রাদেশিক পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান বিজয়ীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং জাতীয় পরিষদের বৈঠক আহ্বান নিয়ে কালক্ষেপণ করে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এ দেশের মানুষকে সামরিক বাহিনী দ্বারা অবদমিত করতে চাইলে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পরিচালিত হলেও যুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানে কারান্তরীণ ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে তাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাকে বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং আরও উল্লেখ করা হয়, তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পড়ে প্রতীয়মান হয়, এটি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার ধারণা ব্যক্ত করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ অপরাহ্নে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। এর পরদিন ১১ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর শপথ গ্রহণের সঙ্গে মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদেরও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠনপূর্বক ওই গণপরিষদকে বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ দায়িত্ব প্রদান বিষয়ে অনেক সংবিধান বিশেষজ্ঞের অভিমত হল, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের কেন্দ্রীয় সরকারের সংবিধান প্রণয়নে কোনো ভূমিকা না থাকারই কথা। সুতরাং কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে যে গণপরিষদ গঠন করা হয়েছিল তা আদৌ একটি স্বাধীন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য জনগণ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিল কিনা, এ প্রশ্নটিকে অমীমাংসিত রেখে এতদসংক্রান্ত কাজটি সমাধা করায় ভবিষ্যতে এ বিষয়ে বিতর্কের দ্বার রুদ্ধ হবে না এমনটিই প্রতীয়মান হয়। গণপরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশের জন্য যে সংবিধান রচনা ও লিপিবদ্ধ করেন, তা গণপরিষদ কর্তৃক ৪ নভেম্বর ১৯৭২ গৃহীত হয়।
অতঃপর ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়। ১৯৭২ সালের সংবিধান অবলোকনে প্রতীয়মান হয়, এটিতে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার উল্লেখ ছিল। সংবিধান কার্যকরের পর গণপরিষদ ভেঙে দিয়ে ১৯৭৩ সালের মার্চে বাংলাদেশের যে প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ওই নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতোই ভূমিধস বিজয়লাভ করে। দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হয় সেটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ছিল। যে কোনো দেশের সংসদীয় পদ্ধতির সরকার গণতান্ত্রিক শাসনের ধারণা ব্যক্ত করে। গণতান্ত্রিক শাসন যে মৌলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত তা হল জনমতের প্রতিফলনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভকারী দলের মাধ্যমে সরকার পরিচালনা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কখনও একজন ব্যক্তির হাতে সরকারের সর্বময় ক্ষমতা থাকে না। কিন্তু ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি আলোকপাত করলে দেখা যায়, সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার সম্পূর্ণটুকুই প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধানরূপে অপর সব পদধারীর ঊর্ধ্বে স্থানলাভ করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া রাষ্ট্রপতি তার অপর সব দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সমাধা করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণের আবশ্যকতা না থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ব্যতীত অপর কাউকে এবং আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি ব্যতীত অপর কাউকে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুযোগ একেবারেই অনুপস্থিত। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর আকাক্সক্ষার বাইরে অন্য কারও রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগের সম্ভাবনা শূন্য। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগলাভ করলেও তাদের নিয়োগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সন্তুষ্টিসাপেক্ষে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকেন এবং প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সময় যে কোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। কোনো মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রক্ষায় অপারগ হলে সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে তার নিয়োগের অবসান ঘটানোর পরামর্শ দিতে পারেন। সংবিধানের বর্তমান বিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র প্রদান করলে অথবা তিনি সংসদ সদস্য না থাকলে অথবা সংসদে তার প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন না থাকলে তার পদ শূন্য হয়। কিন্তু তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকলে তার মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্য পদত্যাগ করেছেন মর্মে গণ্য হয়; কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মতো তাদের নিজ নিজ উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকেন। সংসদ সদস্যপদে বহাল থাকা বিষয়ে আমাদের সংবিধানে অভিনব একটি বিধান রয়েছে। এ বিধানটিতে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দল থেকে পদত্যাগ করলে অথবা সংসদে দলের বিপক্ষে ভোটদান করলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। উল্লেখ্য, একজন সংসদ সদস্য জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হন। জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকেন। একজন নাগরিক কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন এটি একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তাই দেখা যায়, জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের ভিত্তিতে আমাদের সংসদে যে ব্যক্তি দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে এবং সংসদে দলের বিপক্ষে ভোটদানের ব্যাপারে স্বাধীন নন। এরূপ বিধান গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত অন্য কোনো দেশের সংবিধানে এরূপ অগণতান্ত্রিক বিধানের অস্তিত্ব নেই। আমাদের দেশ সংবিধান প্রণয়নের পর সংসদীয় পদ্ধতি ও রাষ্ট্রপতি শাসিত উভয় সরকার ব্যবস্থা দ্বারা শাসিত হয়েছে। দেশ যখন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার অধীন ছিল, তখন দেখা গেছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর অনুরূপ ছিল। স্বাধীনতার পর উভয় ধরনের সরকার ব্যবস্থা বহাল থাকাকালীন বর্তমানের মতো সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান ছিলেন একই ব্যক্তি। এটি অনস্বীকার্য যে, সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান একই ব্যক্তি হলে দলের সব সিদ্ধান্ত যেমন একই ব্যক্তির ইচ্ছায় বাস্তবায়িত হয়, তেমনি সরকারের সব সিদ্ধান্তও একই ব্যক্তির ইচ্ছায় বাস্তবায়িত হয়। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি। কাজেই সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান হিসেবে এক ব্যক্তির কাছে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত হলে গণতন্ত্র বিকাশের সব পথ যে রুদ্ধ হয়, সে প্রশ্নে কারও মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় থাকার কথা নয়। স্বাধীনতার পর ১৯৯০ অবধি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও বিচারপতি আবদুস ছাত্তারের স্বল্পকালীন সময় ছাড়া অধিকাংশ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসীন ছিলেন। তারা তিনজনই একাধারে সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান ছিলেন। তাদের শাসনামলে তাদের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্বে কে আসবেন বা রাষ্ট্রক্ষমতায় কে তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন এ প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়নি। ১৯৯০-পরবর্তী অধিকাংশ সময় বিএনপি বা আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে আসছে। এ দুটি দলের দলীয় ও সরকারপ্রধান দীর্ঘদিন ধরে একই ব্যক্তি। এ দুটি দলের বর্তমান যারা দলীয়প্রধান, তাদের অনুপস্থিতিতে দলীয় নেতৃত্ব যে স্বীয় পরিবারের বাইরে অন্য কারও কাছে যাবে না এ বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। অন্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশে একই ব্যক্তিকে সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান হিসেবে দেখা যায় না। অতীতে দু-একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিবারতন্ত্র দেখা গেলেও এটি গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় বিধায় এখন খুব কমই অনুসৃত হয়। পরিবারতন্ত্রকে উৎসাহিত করা হলে একটি দলে কখনও বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠে না, যা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা অনুমোদন করে না। যে কোনো সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধানের উচিত তার অনুপস্থিতিতে যোগ্যতম ব্যক্তি যেন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে দল অথবা সরকারের নেতৃত্ব লাভ করতে পারে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা। দলের মধ্যে এ ধরনের চর্চা চালু রাখা হলে দলে ত্যাগী লোকের আবির্ভাব ঘটে, যারা সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে দল অথবা সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে পারেন। বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৬টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এসব সংশোধনীর মধ্যে দু-একটি ছাড়া অপর সব সংশোধনীর ক্ষেত্রে দেশের ও জনগণের স্বার্থের চেয়ে দলীয় সংকীর্ণ মনোবৃত্তি অধিক ঠাঁই পেয়েছে। আমাদের সংবিধানে এক ব্যক্তির হাতে সরকারের সর্বসময় ক্ষমতা ন্যস্ত হওয়ায় এটি কোনোভাবেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। আর তাই সংবিধানকে গণতন্ত্রমুখী করতে হলে অবশ্যই এর আমূল সংস্কার প্রয়োজন, যা শুধু দেশের গণতন্ত্রের ভিত সুদৃঢ় করবে না, এর পাশাপাশি দেশকে দ্রুত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
iktederahmed@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.