৫৭ ধারা বাদ দেয়ার আশ্বাস আইনমন্ত্রীর

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ‘বিতর্কিত’ ৫৭ ধারা বাদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাকস্বাধীনতা হরণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এদিনই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পুরোপুরি কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। ভিন্নমত প্রকাশের পথ রুদ্ধ করতে সরকার সবকিছুই করছে। ২০০৬ সালে প্রণীত তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেশেও রয়েছে। এই ধারাটিকে মতপ্রকাশের অধিকারের অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন গণমাধ্যম ও অধিকারকর্মীরা। ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, তা হবে অপরাধ।
এর শাস্তি ৭ থেকে ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা। সাইবার অপরাধ দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। তা প্রণীত হলে তথ্যপ্রযুক্তি আইন এতে অঙ্গীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আনিসুল হক খেলাঘর আসরের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নতুন ডিজিটাল আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে৷ এ আইনে ৫৭ ধারার বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে। সেইসঙ্গে এ সরকারের যে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, তা এ আইনে প্রমাণ করে দেয়া হবে।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর অস্পষ্টতা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শিগগির চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হবে।’ সুপ্রিমকোর্টে স্থাপিত ভাস্কর্যটি নিয়ে সরকারের বিরোধিতা আর ইসলামী গোষ্ঠীর বিরোধিতা এক নয় বলে বোঝাতে চেয়েছেন আনিসুল হক।

No comments

Powered by Blogger.