রাগীব আলী ও তার ছেলের এক বছরের কারাদণ্ড

পলাতক থেকে প্রতারণার মাধ্যমে পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশের দায়ে রাগীব আলী এবং তার ছেলে আবদুল হাইকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাবাসের আদেশ দেন। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মফুর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই পলাতক থাকাবস্থায় পত্রিকা প্রকাশ করলেও অবৈধ প্রকাশনার ব্যাপারে দায়িত্বশীলরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দেয়ার জন্য নালিশকারী গিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নালিশকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী ও বাদী ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগ এনে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন বাদী। আদালত ওইদিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেয়ায় পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গতবছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে আবদুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী স্বপদে বহাল থাকেন।

No comments

Powered by Blogger.