বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সময় বৃদ্ধির শুনানি রোববার

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক সমিতি- বিজিএমইএ'র ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ নতুন এ তারিখ দেন। আজ আবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে গতকাল বুধবার অবৈধ ভবনটি ভাঙতে তিন বছরের সময় চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন দাখিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আদালতের আদেশ অনুযায়ী ভবনটি এখনও না ভাঙায় রাজউক চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্সেদ। নোটিশে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভবন ভেঙে ফেলার সময় পার হয়েছে। কিন্তু এখনও ভবনটি ভাঙার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এটি সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা ও আদালত অবমাননার শামিল। এতে আরও বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ভবনটি ভাঙার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জানানো হল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে। রায়ের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে ফেলার নির্দেশ ছিল। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে।
গত বছরের ২ জুন আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে দেয়। ওই খারিজের রায়ে বলা হয়, ভবন ভাঙার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। বিজিএমইএ না ভাঙলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। এ জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হয় ওই রায়ে। পরে গত ৫ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ভবন ভেঙে ফেলতে দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউয়ের) আবেদন খারিজ করে দেন। এ সময় আদালত বিজিএমইএ'র আইনজীবীকে বলেন, আপনাদের সময় প্রয়োজন বলে আদালতকে অবহিত করেছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি আবেদন দাখিল করুন। সেই মোতাবেক বুধবার এই সময় আবেদন দাখিল করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানান, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মাইনুল ইসলাম।

No comments

Powered by Blogger.