হোয়াইট হাউসে অফিস পেলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প

সরকারি পদে না থেকেও হোয়াইট হাউসে আলাদা অফিস পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। বাবার প্রশাসনে ইভাঙ্কার পরোক্ষ ভূমিকা এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৫ বছর বয়সী ইভাঙ্কার জন্য হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে আলাদা একটি অফিস খোলা হয়েছে। এমনকি তিনি প্রশাসনিক গোপন তথ্যাবলী ব্যবহারের সুযোগও পাচ্ছেন। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। শিগগিরই নতুন অফিসে কাজ শুরু করবেন তিনি। ইভাঙ্কার আইনজীবী জ্যামি গোরেলিক জানিয়েছেন, ইভাঙ্কা সরকারি কোনো কর্মকর্তা নন, তবে তিনি ‘স্বেচ্ছাসেবী’ হিসেবে ভূমিকা রাখবেন। এখানে কাজের ক্ষেত্রে তিনি সব রকমের আইন ও সরকারি কর্মীদের জন্য প্রণীত নীতিমালা মেনে চলবেন। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্পের শপথের আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ইভাঙ্কা। তিনি মার্কিন প্রশাসনে কোনো সরকারি পদে নেই।
স্বাধীনভাবে ব্যবসা করেন। তবে সে সময় থেকেই ফার্স্ট ডটার বা প্রেসিডেন্ট কন্যার নির্ধারিত কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে তার প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনার কথা জোরেশোরেই শোনা যায়। বিভিন্ন সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইভাঙ্কার শক্তিশালী উপস্থিতি দেখা গেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রু–ডো ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রটোকল ভেঙে উপস্থিত ছিলেন ইভাঙ্কা। হোয়াইট হাউস সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভক্ত মার্কিন সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পকে নমনীয় আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন ইভাঙ্কা। মেয়ের পরামর্শেই কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে ট্রাম্পকে সুর নরম করতে দেখা যায়। তার এ ভাষণের কপি তৈরি করে দেন ইভাঙ্কা নিজেই। ট্রাম্পের শপথের পরে ইভাঙ্কার কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে অনেক রিটেইলার অসম্মতি জানালেও কংগ্রেসে ট্রাম্পের ভাষণের পর তার ব্যবসায় মুনাফার গতি লাগামহীন হয়েছে। ট্রাম্পকন্যা হিসেবে ব্যবসায় বাড়তি মুনাফা যোগ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি পদে না থেকেও প্রশাসনিক কাজে সরব উপস্থিতি তো রয়েছেই এবার হোয়াইট হাউসে আলাদা অফিস প্রাপ্তি ইভাঙ্কার কাজের গতিকে আরও বেগবান করবে। আর এজন্যই তিনি স্বামী-সন্তানসহ নিউইয়র্ক ছেড়ে ওয়াশিংটনে থিতু হয়েছেন। ইভাঙ্কার স্বামী জেয়ার্ড কুশনার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

No comments

Powered by Blogger.