আসামিদের পরীক্ষা করলেন আদালত, আজ সাফাই সাক্ষ্য

রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় গতকাল সোমবার ফৌজদারি ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য অনুষ্ঠিত হবে। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী বিশেষ পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আসামি পরীক্ষায় আদালত অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ পাঠ করে শোনান। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচ আসামি তাঁদের নির্দোষ দাবি করেন।
আজ সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। আদালত সূত্র জানায়, গতকাল সকালে পুলিশি নিরাপত্তায় অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন জেএমবির পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (২১), একই এলাকার জেএমবির সদস্য ইছাহাক আলী (২৫), বগুড়ার গাবতলী এলাকার জেএমবির সদস্য লিটন মিয়া ওরফে রফিক (২৩), পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের জেএমবির সদস্য আবু সাঈদ (২৮) ও গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন (৩২)। পলাতক আসামি হলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব (২৪)।
এই মামলার অভিযুক্ত আসামি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গজপুরি এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান (২৮) অভিযোগ গঠনের আগেই রাজশাহীতে এবং মামলার অভিযোগ গঠনের পর কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চর বিদ্যানন্দ এলাকার সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ওরফে চঞ্চল ওরফে সবুজ ওরফে রবি (২১) ঢাকার মোহাম্মপুর বেড়িবাঁধে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারি গ্রামে কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাউনিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী গত বছরের ৩ জুলাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আট সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৩ মাস ১২ দিন পর গত ১৫ নভেম্বর সাত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

No comments

Powered by Blogger.