ছবির গল্প পড়ে বেশ কিছুক্ষণ নির্বাক ছিলাম

ভালোবাসার শহর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে জয়া আহসান
কলকাতার পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ভালোবাসার শহর-এ অভিনয়ের মাধ্যমে এই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আঙিনায় পা দিলেন জয়া আহসান। ছবিটি মুক্তি পাবে অচিরেই। এই ছবি ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বললেন জয়া। হঠাৎ স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করলেন কেন? আমার কাছে আসলে অভিনয়ই মুখ্য—তা সে পূর্ণদৈর্ঘ্য-স্বল্পদৈর্ঘ্য-মঞ্চনাটক, মাধ্যম যা-ই হোক না কেন। ছবিতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে গল্প, চিত্রনাট্য, পরিচালক—এসব দেখার পর যদি মনে হয় কাজটি আমার করা উচিত, তবেই কাজটি করি। এ ছবির গল্প আমার ভালো লেগেছে। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ভীষণ মেধাবী একজন পরিচালক। তাঁর ফড়িং যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। এ ছাড়া এ ছবিতে এমন কিছু বিষয় আছে, বর্তমান পৃথিবীর এমন কিছু প্রসঙ্গ আছে, যা মানুষকে ভাবাবে। বলতে পারেন, অভিনয়শিল্পী ও মানুষ হিসেবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে অভিনয় করেছি। ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত... ভালোবাসার শহর-এ আমি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, তরুণ মুখোপাধ্যায় ও সোহিনী সরকার। এটি ৩০ মিনিটের চলচ্চিত্র বটে, কিন্তু এর গভীরতা অনেক। এ ছবির গল্প প্রথম পড়ে বেশ কিছুক্ষণ আমি নির্বাক ছিলাম। শুটিংয়ের পর বর্তমানে সম্পাদনার টেবিলে আছে ছবিটি। আগামী ২৭ মে এটি মুক্তি দেওয়া হবে। ছবির গল্পটি কি বলা যাবে? এখন পৃথিবীজুড়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ—লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়ায় নির্বিচারে মানুষ মরছে। আমরা সবকিছু দেখছি। আবার ভুলেও যাচ্ছি। নানা কিছুর বিশ্বায়ন হয়েছে কিন্তু শোকের কোনো বিশ্বায়ন হয়নি। এই যে পরিস্থিতি, এটা কিন্তু দুনিয়ার দরজা-জানালা গলে আমাদের এখানেও হতে পারে। ভারত-বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ঘটতে পারে। সব দেখে আমরা এখন চোখ বুঁজে আছি বটে, কিন্তু আমাদের এখানে এমন ঘটনা ঘটলে কী করব? তাই এ ছবির গল্পটি আসলে ভারত-বাংলাদেশের যেকোনো শহরের গল্প। আপনার অন্যান্য কাজকর্ম... কলকাতার অরিন্দম শীলের ঈগলের চোখ ছবির কাজ শেষ করলাম মাত্র। আগস্টে এটি মুক্তি পাবে। সামনেই শুরু করব মনোজ মিসিগানের নতুন একটি ছবির কাজ। এরপরই বাংলাদেশে শুরু হবে নুরুল আলম আতিকের লাল মোরগের ঝুঁটির শুটিং।
সাক্ষাৎকার: আলতাফ শাহনেওয়াজ

No comments

Powered by Blogger.