ত্রয়ী অভিনেত্রীর ‘মা দিবস’

মাদার’স ডে ছবিতে জেনিফার অ্যানিস্টন ও জুলিয়া রবার্টস
হলিউডে তাঁদের খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা অনেক দিনের। সেই জেনিফার অ্যানিস্টন, জুলিয়া রবার্টস আর কেট হাডসন এবার একসঙ্গে হাজির মাদার’স ডে ছবিতে। মা দিবস সামনে রেখে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে কাল ২৯ এপ্রিল। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যাসন সুডেকিস। অ্যানিস্টন এরই মধ্যে এ বছরের ‘সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৭ বছর বয়সে পিপল ম্যাগাজিনের এই স্বীকৃতি পেয়ে বিস্ময় আর কিশোরীসুলভ উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন, যদিও এই আনন্দময় অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য নতুন নয় মোটেও। ২০০৪ সালেও একই সম্মান পেয়েছেন হলিউডের এই স্বর্ণকেশী। অ্যানিস্টনের খ্যাতির শুরু হাস্যরসপূর্ণ টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ফ্রেন্ডস’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। গত বছর বিয়ে করেছেন অনেক দিনের প্রেমিক ৪৪ বছর বয়সী জাস্টিন থেরোকে। একসময় ব্র্যাড পিটের ঘরনি ছিলেন অ্যানিস্টন। সেই স্থানটা এখন অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। তিনিও পিপল ম্যাগাজিনের বিবেচনায় সেরা সুন্দরী (২০০৬) হয়েছিলেন! আর গত বছর এই খেতাব পেয়েছিলেন ৫১ বছর বয়সী স্যান্ড্রা বুলক। অ্যানিস্টন মনে করেন, সৌন্দর্য কেবল বাইরের অবয়বটুকু নয়, এটা প্রকাশ পায় জীবনের বিভিন্ন বাধা পেরোনোর শক্তি ও সাহস, ব্যর্থতা আর লোকজনের সমালোচনা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলা আর উদ্যমের মধ্যে।
কেট হাডসন
প্রিটি উওম্যান ও এরিন ব্রোকোভিচ-খ্যাত জুলিয়া রবার্টসের জন্যও নতুন ছবিটির বিশেষত্ব আছে। তিন সন্তানের জননী এই তারকা মাদার’স ডে ছবিতে হাজির হয়েছেন ১৯৯৯ সালের ছবি নটিং হিল-এর সেই ববকাট চুলের স্টাইলে। আর কেট হাডসন সম্প্রতি ৩৭তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন মায়ের সঙ্গে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হয়েছে বিস্তর আলোচনা। সেটা মাদার’স ডে ছবির প্রচারে নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ‘মাঝে মাঝে নিজেকে একজন খারাপ মা মনে হয়’ নামে নিবন্ধ লিখেও আলোচনায় এসেছেন দুই ছেলের মা হাডসন। ইনস্টাইল সাময়িকীর নতুন সংখ্যায় থাকছে নিবন্ধটি। দুই ছেলের বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে কেট হাডসনের। এমন পরিস্থিতিতে শিশু-সন্তান লালনের অভিজ্ঞতার নিয়ে অনেক কথা থাকছে তাঁর এই নিবন্ধে। মাদার’স ডে পরিচালনা করেছেন গ্যারি মার্শাল। কাহিনিটা এ রকম: তিন কন্যাকে লালন-পালন করেন ৪৯ বছর বয়সী বিপত্নীক সুডেকিস। সেই তিন মেয়েরই এবার মা হওয়ার পালা। আর তাতে আনন্দের অন্ত নেই সুডেকিসের। পরিপূর্ণ তিন নারীর বাবা হতে পেরে বেশ সুখী তিনি। কেন হবেন না? ওই তিনজন যখন এক বিমান দুর্ঘটনায় মাতৃহীন হয়, তিনি সাহসিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেটা সম্পূর্ণ করতে পেরে গর্বিত হওয়াই তো স্বাভাবিক। তিন মেয়ে এখন তাঁকে নিজেদের ‘মা’ বলে উল্লেখ করে! পারিবারিক সম্পর্ক আর মাতৃত্বের আনন্দই মাদার’স ডে ছবির মূল উপজীব্য। বিচেস ও প্রিটি উওম্যান ছবির পরিচালক মার্শাল বলেন, পৃথিবীর যেখানেই যান, মাকে সবাই চেনে। কারণ, সবাই মায়ের গর্ভে জন্মেছে। কারও মা বেঁচে আছেন, আর কারও মা চলে গেছেন। তাই সবারই মাকে জানতে, বুঝতে, ভালোবাসতে হয়। মায়ের প্রভাব সবার ওপর কমবেশি থাকে জীবনভর।

No comments

Powered by Blogger.