রামপাল নিয়ে উদ্বেগ কেন? by আসিফ নজরুল

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন সরকারের মন্ত্রীরা। বিশেষত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর মতে, ‘আলট্রাসুপার থারমাল প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হবে বলে এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর পর স্বয়ং পরিবেশমন্ত্রীও ১৮ নভেম্বর একটি সেমিনারে দাবি করেছেন যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব মানুষ ও পরিবেশের ওপর পড়বে না। কোনো ক্ষতি হবে না, এই দাবি রামপাল প্রকল্পের ক্ষেত্রে কতটা বস্তুনিষ্ঠ তা নিয়ে অবশ্য অন্য অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। এই প্রকল্পের ক্ষতিকর দিক নিয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদেরা বহু ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সম্পর্কে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সমীক্ষা প্রতিবেদনও রয়েছে। রামপাল-বিরোধীদের বক্তব্য যদি বাদও দিই, এই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের পদ্ধতি এবং তার বক্তব্য বিশ্লেষণ করলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বহু কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে এই প্রকল্পের বড় অংশীদার ভারতের প্রতিষ্ঠানটির ট্র্যাক রেকর্ড নিয়েও।
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি। এটি ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনটিপিসি) এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একটি যৌথ উদ্যোগ কোম্পানি। এখানে দুই দেশের কোম্পানির মধ্যে যে শর্তাবলির ভিত্তিতে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে, তা অর্থনৈতিকভাবে কতটা বাংলাদেশের বাস্তবানুগ তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমি এই নিবন্ধে শুধু প্রকল্পটির মারাত্মক পরিবেশ-ঝুঁকির বিষয়টি আলোচনা করব।
২.
কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র সারা বিশ্বে সবচেয়ে দূষণকারী একটি শিল্প হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ পরিবেশ বিধিমালাতেও এটিকে রেড বা সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলে বর্ণনা করা আছে। সুন্দরবনের মতো একটি স্পর্শকাতর বনের কাছে (১৪ কিলোমিটারের মধ্যে) এই ঝুঁকি আরও বেশি।
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি শুরুই হয় বাংলাদেশের পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে। রামপাল কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট–সম্পর্কিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি, অথচ জমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ২৩ আগস্ট ২০১১ সাল থেকে। অন্যদিকে এ–সম্পর্কিত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষাটি (এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট) পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমোদন করে ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট। এই অনুমোদনের আগেই চুক্তিস্বাক্ষর এবং জমি অধিগ্রহণ পরিবেশ আইনের মৌলিক বিধানের লঙ্ঘন।
পরিবেশ সমীক্ষাটি সম্পন্ন হয় প্রশ্নবিদ্ধভাবে। সরকার যেহেতু এই প্রকল্পের অংশীদার, তাই বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে এটি সম্পন্ন করা উচিত ছিল কোনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কিন্তু পরিবেশ সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্টটি তৈরি করে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস), যা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান। শুধু তা-ই নয়, সিইজিআইএস নিজেই প্রতিবেদনটি তৈরি করতে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের ‘ইনস্ট্রাকশন ও গাইডেন্স’ গ্রহণ করে বলে জানায়, যাঁদের কেউ কেউ শুরু থেকেই এ প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
পরিবেশ সমীক্ষাটি পরিচালিত হয় নানা অসম্পূর্ণতা ও ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে। এই সমীক্ষা নিয়ে সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (সাহার) ২০১৫ সালের একটি মিশন রিপোর্টে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায় যে সমীক্ষায় বায়ু, পানি, মাটি ও প্রািণবৈচিত্র্য-সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের জন্য যথাযথ স্থান ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। সমীক্ষাটি আগস্ট ২০১০ থেকে আগস্ট ২০১১ সালে চালানো হলেও এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০১০ সালের আগের সেকেন্ডারি ডেটা ব্যবহার করে। ফলে এতে হালনাগাদ তথ্য ছিল না। এয়ার স্যাম্পল মাত্র একবার তিনটি লোকেশন থেকে অ্যাসেস (বিশ্লেষণ) করা হয়, প্রজেক্ট সাইট সুন্দরবন বা মংলা সম্পর্কে কোনো তথ্য সেখানে নেই।
পরিবেশ সমীক্ষার প্রতিবেদনে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়। আমি শুধু কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি। প্রতিবেদনের ২৭৮ নম্বর পৃষ্ঠা অনুসারে রামপাল প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ১৪২ টন এসওটু (সালফার ডাইঅক্সাইড) নামক বায়ুদূষণকারী গ্যাস নির্গত হবে। এর ফলে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি কিউবিক মিটার অঞ্চলে এসওটুর পরিমাণ ৮ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫৩ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম বেড়ে যাবে। পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭ সাল অনুসারে সুন্দরবনের মতো পরিবেশগতভাবে বিপন্ন অঞ্চলে এর পরিমাণ ৩০ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া ক্ষতিকর। এই বাস্তবতা এড়াতে প্রতিবেদনে পরিবেশ নীতিমালায় আবাসিক এলাকার জন্য অনুমোদনযোগ্য এসওটুর পরিমাণ ৮০ মাইক্রোগ্রাম এটি উদ্ধৃত করে প্রকল্পটির প্রভাব সুন্দরবনের বাতাসের মানের ওপর খুব অনুল্লেখ্য বলা হয়েছে!
প্রতিবেদনের ২৮৪ পৃষ্ঠায় প্ল্যান্টটিতে সুপারক্রিটিক্যাল বয়লার টেকনোলজি ব্যবহারের কারণে পুরোনো বা প্রচলিত প্রযুক্তির তুলনায় এ থেকের প্রায় ১০ শতাংশ কম কার্বন নিসঃরণ (এমিশন) হবে বলে বলা হয়েছে (প্রতিবছর প্রায় ৭৯ লাখ টন)। নির্দিষ্টভাবে সুন্দরবনের ওপর এর মারাত্মক প্রভাবের কথা এড়ানোর জন্য পরিবেশ সমীক্ষায় পুরো দেশের ওপর (ন্যাশনাল পার ক্যাপিটা এমিশন) এই কার্বন নিঃসরণের প্রভাব খুবই কম বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনের ২৮৫ পৃষ্ঠায় রামপাল প্ল্যান্টের জন্য প্রতি ঘণ্টায় পশুর নদের ৯ হাজার ১৫০ কিউবিক মিটার পানি প্রত্যাহার করা হবে এবং প্ল্যান্টটিতে ব্যবহারের পর ৫ হাজার ১৫০ কিউবিক মিটার পানি নদে ফেরত দেওয়া হবে বলা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৪ হাজার কিউবিক মিটার পানি হারানোর কী প্রভাব পশুর নদের প্রতিবেশ এবং এর প্রািণবৈচিত্র্যের ওপর পড়বে, তার কোনো স্পষ্ট উত্তর প্রতিবেদনে নেই।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে বিস্ময়করভাবে আরও কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে সুন্দরবনের ওপর প্রভাবের কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়। যেমন এতে বলা হয়েছে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্ল্যান্টের এলাকার জমি ও পানিসম্পদের ওপর ছাই ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বলা হয়েছে, ঘন জনবসতি দুই কিলোমিটার দূরে বলে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি হবে কম (পৃষ্ঠা ২৭১)। সুন্দরবন এলাকা জনবসতি নয়, বরং বিভিন্ন নদী ও জলপথে সংযুক্ত একটি খুবই স্পর্শকাতর ইকোসিস্টেম হিসেবে পরিচিত। অথচ দুর্ঘটনা বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে শিল্পজাত ছাই বা বর্জ্য ছড়িয়ে পড়লে সুন্দরবনের প্রাণী ও বৃক্ষসম্পদের ওপর কতটা প্রভাব পড়তে পারে, সেটি যথাযথ গুরুত্বই পায়নি প্রতিবেদনে।
এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানি করা হবে সম্ভবত ভারত বা অন্য কোনো দেশ থেকে। কোন দেশ থেকে কয়লা আমদানি করা হবে, তা এখনো ঠিক করা হয়নি বলে কয়লার মান এবং পরিবেশের ওপর এর প্রভাব কী হবে তা সমীক্ষা প্রতিবেদনে নিশ্চিতভাবে বলার উপায় নেই। সমীক্ষা প্রতিবেদনে সাধারণভাবে বলা হয়েছে যে রামপাল প্রকল্পটিতে ব্যবহারের জন্য যে কয়লা লাগবে, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত এর পরিবহনের রুটে শব্দ, তেলদূষণ, ব্যালাস্ট ওয়াটার ডিসচার্জ এবং কয়লার পতনজনিত দূষণ হতে পারে। বলা হয়েছে যে এগুলো রোধে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে পরিদর্শন ও তদারকি করতে হবে (পৃষ্ঠা ৪৩৫)। আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশে এসব কর্তৃপক্ষের পরিদর্শন ও তদারকির ক্ষমতা ও দক্ষতার ওপর ভরসা করে এত ঝুঁকিপূর্ণ একটি প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কি?
প্রতিবেদনের ২৬৮ পৃষ্ঠায় এও বলা হয়েছে যে রামপাল প্ল্যান্টটির নির্মাণসামগ্রী বহনের সময় নৌপরিবহন যানের চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে যদি নেভিগেশন, স্পিলেজ, নয়েজ, স্পিড, লাইটিং ও ওয়েস্ট ডিসপোজাল আইন ও বিধিগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে এর প্রভাব সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, কুমির, ডলফিন, বনসহ সুন্দরবনের গোটা ইকোসিস্টেমের ওপর পড়তে পারে। প্রশ্ন আসে, ঢাকা শহরের মধ্যে বুড়িগঙ্গা বা গুলশান লেকের মতো এলাকায় যখন আমরা পরিবেশ আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হই, তখন সুন্দরবনের মতো একটি দূরবর্তী এলাকায় এসব আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ হবে, এটি নিশ্চিত করার সামর্থ্য এবং দক্ষতা আমাদের আদৌ রয়েছে কি?
পরিবেশ সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ৫৭টি শর্ত সাপেক্ষে প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিল। এগুলো পালন করতে হলে প্ল্যান্টটির সার্বিক নির্মাণ, পরিচালনা ব্যবস্থাপনা খুবই উন্নত ও দক্ষভাবে করতে হবে। সাহােরর মিশনের মতে, এগুলো করা হলে প্রকল্পটি অর্থনৈতিকভাবে আর টেকসই (ভায়াবল) থাকবে না। মিশন এসব শর্তাবলি পালন করা হচ্ছে এ ধরনের কোনো সাক্ষ্য–প্রমাণও লক্ষ করতে পারেনি।
৩.
পরিবেশ সমীক্ষা ও রামপাল প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। নরওয়ের একটি দাতা সংস্থা জিপিএফজির প্রতিবেদনে রামপাল প্রকল্পের পরিবেশ সমীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় এড়িয়ে যাওয়া ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যার অভিযোগ করা হয় এবং প্রকল্পটিতে কনটিনজেন্সি প্ল্যান ও পরিবেশদূষণ রোধ ব্যবস্থার অভাবের কথা বলা হয়।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের ওপর ২০১৪ সালে পরিচালিত ইউনেসকোর সমীক্ষায় সুন্দরবনের অসাধারণ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ওপর প্রকল্পটির সম্ভাব্য পরিবেশদূষণের উচ্চ ঝুঁকির কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রেরণে বাংলাদেশ সরকারের অনীহায় হতাশা প্রকাশ করা হয়। আইইউসিএনের প্রতিবেদনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি আরও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানোর সুপারিশ করা হয়।
রামপাল প্রকল্পটি বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে ভারতের একটি প্রবল সমালোচিত কোম্পানির সঙ্গে। ভারতেরই বিজ্ঞান ও পরিবেশ সেন্টারের ‘হিট অন পাওয়ার’ নামক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, বৈশ্বিক মানদণ্ডে ভারতের কয়লা বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোর পরিবেশদূষণ রোধের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নমানের। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে আবার নিম্নতর মানের একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এনটিপিসি এবং ভারতেই সবচেয়ে পরিবেশদূষণকারী বদরপুর প্রকল্পটি ছিল এদেরই।
৪.
পরিবেশ আইন বাস্তবায়নে খুবই দুর্বল একটি দেশের খুবই স্পর্শকাতর একটি জায়গায় চারিত্রিকভাবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি প্রকল্প খুব বিতর্কিত একটি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করলে যেকোনো মানুষের উদ্বিগ্নই হওয়া উচিত।
সরকারের উচিত ঢালাওভাবে এসব উদ্বেগকে নাকচ না করে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি অবিলম্বে সুন্দরবন থেকে আরও অনেক দূরে কোথাও সরিয়ে নেওয়া। উচিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিবেশ ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হবে এটি নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশের মানুষকে এ সম্পর্কে তথ্য–প্রমাণ দিয়ে আশ্বস্ত করা।
মনে রাখতে হবে যে সুন্দরবন সরকারের না, এটি রাষ্ট্রের। সুন্দরবন শুধু এই প্রজন্ম বা এই অঞ্চলের মানুষের না, এটি সবার ও সব সময়ের একটি অমূল্য সম্পদ বা হেরিটেজ।
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.