জামায়াত ঘিরে নতুন তৎপরতা

বিপর্যয় কাটছে না জামায়াতের। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের তিন নেতার মৃত্যুদণ্ড এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে। বাকিদের বিচারও শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। তবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা কোনো সূত্রই তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। এক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা কোথায় ভিড়বেন তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নন জামায়াতের এমন নেতারা দলটিকে সংগঠিত করেন কিনা অথবা নতুন কোন দল গড়ে তোলেন কিনা সে ব্যাপারে এখন নজর দেয়া হয়েছে। দলটির তরুণ প্রজন্মের নেতাদের একটি বড় অংশ এখনও কারাগারে রয়েছেন। একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কারণে তাদের মুক্তি মিলছে না। তবে বাইরে থেকে যারা দলকে সংগঠিত রাখার চেষ্টা করছেন তাদের বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। জামায়াতের কোন কোন নেতা মনে করেন, একটি মহল দলটিতে ভাঙন সৃষ্টির তৎপরতা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক নেতা বলেন, ওই মহলটি জানে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে বিভক্তি সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। তাই তারা এক ধরনের অনানুষ্ঠানিক বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে দলে কট্টরপন্থি এবং সংস্কারপন্থি এমন দুটি ভাগ দেখানোর চেষ্টা চলছে। যেন দলটির নেতাকর্মীদের ভেতরে এক ধরনের সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি করা যায়। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু তৎপরতা দৃশ্যমান বলে তিনি জানান।
এদিকে, আগামী বছর শুরুর দিকে জামায়াতের বিচার সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় উঠতে পারে। তবে এ নিয়ে সরকারি দলে নানা মত রয়েছে। কোন কোন পর্যবেক্ষক মনে করেন, জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে তা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে জামায়াতকে জোটে রাখা নিয়ে যে সমালোচনা সে সমালোচনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জামায়াতের ভোটব্যাংক বিএনপিরই থাকতে পারে। তবে জামায়াত-শিবিরের একটি অংশ উগ্রপন্থায় জড়িয়ে যেতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.