সতর্কতা জারির ফলে পর্যটন শিল্পসহ সার্বিক অর্থনীতির ক্ষতি হবে : মেনন

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যার জন্য সতর্কতা জারির প্রয়োজন হতে পারে।
তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পসহ সার্বিক অর্থনীতির ক্ষতি হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে কানাডার হাইকমিশনার বিনোয়েট পাইরি লারামির সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন ।
হাইকমিশনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আপনাদের প্রচার মাধ্যম অনেক বেশি আতংক সৃষ্টি করেছে। তবে বাস্তব পরিস্থিতিতে আতংকিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
তিনি একই সঙ্গে বলেন, তারা খুবই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আছেন। তিনি বাংলাদেশে বিদেশীদের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
রাশেদ খান মেনন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ক তার পর্যবেক্ষণের বিষয়টি বাংলাদেশে কর্মরত তার কূটনৈতিক বন্ধুদের অবহিত করার জন্য হাইকমিশনারকে প্রতি আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, যে সময় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সফরে এলার্ট জারি করেছে, একই সময়ে যুক্তরাজ্যের উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল আমার সাথে বৈঠক করেছে।
বাংলাদেশ ও কানাডা বন্ধু প্রতীম দু‘দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহনখাতের উন্নয়নে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন কর্মসুচির কথা উল্লেখ করেন।
মেনন বলেন, বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা চলতি মাসে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিস্ট ট্যুরিজম সার্কিট কনফারেন্স করতে যাচ্ছি।
পর্যটনের উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি দেশের পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলো তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অবিচল থেকে কাজ করছে। তিনি অহেতুক এলার্ট জারির মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির বৈসাদৃশ্যও তুলে ধরেন। দেশের যেকোনো পরিস্থিতির উত্তরণে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কানাডার বিনিয়োগের প্রশংসা করে বিমানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগাতে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে কানাডা এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বিমান পরিবহন ও পর্যটনখাতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি নিয়েও কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তবে এর আগে একটি ব্রিটিশ বাণিজ্য প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সূত্র : বাসস

No comments

Powered by Blogger.