শুদ্ধি না চালালে রাজনীতিরই ক্ষতি হয়

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ফেসবুকে লিখেছেন, গুলশান থেকে শুদ্ধি শুরু মানে বিএনপির পরিবর্তনের সূচনা চেয়ারপারসনের গুলশান অফিস থেকে হতে পারে বলে বুঝানো হয়েছে। এরকম একটা দাবি দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আছে, এটা সত্য। রাজনৈতিক দলে সময়ের চাহিদা মাফিক পরিবর্তন বা শুদ্ধি অনেক সময় প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দেয়। গুলশান অফিসে শুদ্ধি মানে ইট-সিমেন্টের বিল্ডিংয়ের পরিবর্তন নয়। সেখানে নানান দায়িত্ব পালনের সংগে জড়িত লোকদের পরিবর্তন। রাজনৈতিক ধাঁচের কাজে সততা, দক্ষতা, সক্ষমতা, যোগ্যতা, শৃংখলাবোধ,আনুগত্য এগুলো সব সময় একরকম থাকে না। এসবের পরিবর্তন হলে ব্যক্তির পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আমাকে দিয়েই উদাহরণ দিই। আমি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয় দেখাশুনা করি। যদি দেখা যায় আমি এখন আর দক্ষতা,  যোগ্যতা,  সততা, শৃংখলা, আনুগত্য বজায় রেখে সে দায়িত্বটা পালন করতে পারছি না বা করছি না তাহলে আমাকে সরিয়ে দেয়াটা অপরিহার্য। এটাই শুদ্ধি। প্রয়োজনীয় এই শুদ্ধি না চালালে রাজনীতিরই ক্ষতি হয়। কাজেই বিষয়টা যদি দল বিবেচনা করে গুলশান থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে চায় তাতে ক্ষতি নেই, বরং দল শক্তিশালী হয়। মানবজমিনে প্রকাশিত গুলশান থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু- শীর্ষক সংবাদের দিকে ইংগিত করে এক ব্যক্তির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মারুফ কামাল খান সোহেল এসেব কথা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, অপসাংবাদিকতা বা ভুল সংবাদের উদাহরণ হিসেবে ঐ রেফারেন্সটা পুরোপুরি ঠিক হয়নি। মূল স্ট্যাটাসে মারুফ কামাল খান লিখেছেন, গুজব, বিভ্রান্তি বা অর্ধসত্য বিষয় প্রচার করা মিডিয়ার কাজ নয়। এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও দলমন্যতার কারণে এখন এটা হচ্ছে। সাংবাদিকতার কাজ হচ্ছে গুজব ও বিভ্রান্তির নিরসন এবং প্রকৃত সত্য খুঁজে বের করে তা পাঠককে জানানো। সূত্র কি সব সময় সঠিক তথ্য দেয়? সূত্রেরও স্বার্থ এবং পছন্দ-অপছন্দ থাকে। কাজেই সূত্রের দেয়া তথ্যকে সংবাদ আকারে পরিবেশনের আগে তা চেক, রিচেক ও ক্রসচেক করে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সৎ সাংবাদিকতার দাবি। আমরা সাংবাদিকতা শুরুর সময়েই শিখেছি ভুল সংবাদ প্রচারের চেয়ে কোনো সংবাদ প্রচার না করা ভালো।

No comments

Powered by Blogger.