মেমনের ফাঁসির সাক্ষী রইলেন ‘মর্দানি’ মীরা
ফের
একবার খবরের শিরোনামে এলেন বাস্তবের 'মর্দানি' মীরা বোরওয়ানকার। ইয়াকুব
মেমনের ফাঁসির সময় মহারাষ্ট্রের যে পাঁচজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা জেলের
অন্দরে ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন তিনি। মহারাষ্ট্রের প্রথম মহিলা আইপিএস
মীরা বর্তমানে এডিজিপি(অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ)। ''ইয়াকুবের
ফাঁসি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ''এটা একতা অত্যন্ত
স্পর্শকাতর বিষয় , আমি এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।'' বাবা ওপি চাদা ছিলেন
বিএসফ কর্মকর্তা। পাঞ্জাবেই তার স্কুল ও কলেজজীবন কেটেছে। পরে মহারাষ্ট্রে
আসেন তিনি। তিনি বলেন, মারাঠি হিন্দি শিখতে তার বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল
তার। অফিসার হিসেবে একের পর এক সাফল্য যুক্ত হয় তার নামের সঙ্গে। ১৯৯৪ তে
জলগাঁওতে একটি মধুচক্র ফাঁস করে প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন মীরা। এছাড়াও
বহু বড় মাপের মাফিয়াদের ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তার জীবন
নিয়েই তৈরি হয়েছিল রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ছবি মর্দানি। কিভাবে একজন
মহিলা তার ''মর্দানি' প্রকাশ করতে পারে তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মীরা
বলেন, 'প্রত্যেক মহিলার মধ্যেই মর্দানি লুকিয়ে থাকে। আমিও পাঞ্জাবের গ্রামে
বড় হয়েছি। সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছি। কোনোকিছুর সঙ্গে সমঝোতা না করলে
আর প্রচুর পরিশ্রম করলেই প্রকাশ পাবে সেই 'মর্দানি'। শর্টকাট নিয়ে কেউ কখনও
সফল হতে পারে না।'' – ওয়েবসাইট

No comments