‘আবারও ভুল করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না’ -সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্বই থাকবে না। আজ শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, সবাই সেই নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচন বর্জন করা ভালো রাজনীতি নয়। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে দলটির অস্তিত্ব থাকবে না।’
আশরাফ বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি এখন আর কার্যকর নেই। ইয়াহিয়া, জিয়া ও এরশাদের সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আপনি যদি জেনেও যান, আপনার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাহলেও আপনার নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বর্জন করলে কোনো লাভ হবে না। আপনারা আসুন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আমরা আশা করি, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’
মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো আলোচনাই আমাদের দলের মধ্যে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে। প্রধানমন্ত্রী যদি লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে, তাহলে যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সংবিধানে এই ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া আছে। উনি ইচ্ছা করলে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতেও পারেন, নাও পারেন। উনি যদি প্রয়োজন মনে করেন, যেকোনো সময় হবে। না হলে যথাসময়ে হবে।’
জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়াকে আবারও জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট যদি সত্যিকারের জন্মদিন হয়ে থাকে তাহলেও ১৬ বা ১৭ আগস্ট যেন তিনি জন্মদিন পালন করেন। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম শীতকালে। কিন্তু তিনি শীতকালে জন্মদিন পালন করেন না। তিনি দেশের জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য শীতকালের পরিবর্তে জুলাই মাসে জন্মদিন পালন করেন।
এর আগে ভোর ছয়টার দিকে রাজধানী ঢাকা থেকে সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রওনা দেন। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হক ও মেজবাহ উদ্দিন সিরাজসহ অনেকে। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবেই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা জানাতে যান।

No comments

Powered by Blogger.