পাকিস্তানের একমাত্র হুমকি ভারত

পাকিস্তানের একমাত্র হুমকি ভারত। গত ক’বছরে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনেছে, তার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই কেনা হয়েছে ‘পাকিস্তানকেন্দ্রিক’। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এ মতামত জানায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে ডন। সংসদীয় কমিটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের বৈঠকে জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়। বৈঠকে সেনাবাহিনী সংসদীয় কমিটিকে জানায়, পাকিস্তানের বাইরের হুমকি বলতে কেবল ভারতই রয়েছে। গত ক’বছরে দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনা হয়েছে। আর এসব অস্ত্রের মধ্যে ৮০ শতাংশই ‘পাকিস্তানকেন্দ্রিক’। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আরও ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মুশাহিদ হুসাইন সায়েদ ও সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল রাশাদ মাহমুদ। বৈঠক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
এছাড়া গত এক দশকে সামরিক খরচ দিগুণ করেছে দেশটি। এ বছর তাদের এ বাজেট ৪০.০৭ বিলিয়নে উন্নীত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি দু’দেশের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) দফায় দফায় শান্তিচুক্তি লংঘন এবং এর জেরে ভারত-পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক ভেঙে যাওয়ার পর সংসদীয় কমিটির এ বৈঠক হল। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা নীতির খসড়া বাস্তবায়ন দরকার। কেননা ঝুঁকিপূর্ণ দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেয়ারম্যান মুশাহিদ এ প্রস্তাবের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা কমিটি কেবিনেটের (ডিসিসি) ও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) মতো একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতেও পরামর্শ দিয়েছেন। এটা সামরিক ও বেসামরিক ঐক্য গড়ে তোলার সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা নীতি বাস্তবায়নের পথ সুগম করবে। ভারতের সম্ভাব্য যে কোনো হামলা প্রতিহত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এ পদক্ষেপ। অন্যদিকে সাইবার স্পেসে ভারতের থেকে ভয়ানক হামলার আশংকা করছে জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটি। এ লক্ষ্যে সরকারকে আন্তঃসেবা সাইবার কমান্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। গতানুগতিক যুদ্ধের বাইরে সাইবার যুদ্ধ নিরাপত্তা অটুট রাখতে এ ব্যবস্থা অতি জরুরি বলে মত দিয়েছেন তারা।

No comments

Powered by Blogger.