বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশের সমালোচনায় কৃষিমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশের আবারও সমালোচনা করলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মেরেছে, রাষ্ট্রপতিকে মেরেছে এমন কেউ যদি বাংলাদেশে ঠাঁই নিত বা আশ্রয় নিত তাহলে আপনারা ড্রোন পাঠিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সাফা (শেষ) করে দিতেন। আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন। ন্যায় বিচার সবার জন্য। সব দেশের জন্যই ন্যায় বিচার।’
রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে জাতীয় শোক দিবসের র‍্যালির প্রাক্কালে এক সমাবেশে এ কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৪০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগ এই শোক সভাযাত্রার আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রাটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন এ এম রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেক খুনি মোসলেম উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে পাননি। আর মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের কারণে নুর চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে না কানাডা। আত্মস্বীকৃত ছয় খুনির অপর তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও আবদুল মাজেদ কোথায় আছেন, তা সরকার জানে না।
সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার জন্য ন্যায় বিচার চাই। এ ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তবে সবাই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে নাই। আমাদের শপথ হচ্ছে সবাইকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো।’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন সাহারা খাতুন, মাহবুবুল আলম হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
গত ২৭ আগস্ট দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ রাসেল দাবা ক্লাব আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সমালোচনা করেছিলেন। সেখানে কৃষিমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যাকারী কেউ বাংলাদেশে থাকত, তাহলে তাঁরা কি বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলত? কানাডাসহ যেসব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আছেন, সেসব দেশের জনগণ ও সরকারের উদ্দেশে প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন রেখেছিলেন মন্ত্রী।

No comments

Powered by Blogger.