তিস্তা চুক্তি সইয়ের ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার দিল্লি সফর কাম্য

আমি এলাম, আমি দেখলাম এবং আমি জয় করলাম।’ বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদ্য সমাপ্ত সফরকে এভাবেই উচ্ছ্বাস ভরে সাফল্যজনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ফারুক সোবহান। গত ১০ই জুন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের ইতিবাচক দিকগুলো বিস্তারিত উল্লেখ করার পরে তিনি মন্তব্য করেছেন, তিস্তা চুক্তি সইয়ের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট আশাবাদ শক্তিশালী হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে।
ফারুক সোবহান লিখেছেন, মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ করে গত বছরে ঢাকায়  একটি সফল সফরের পরে তার উপস্থিতির কারণে জনগণ উৎসাহিত হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর হূদয় হয়তো গলেছে। কিন্তু এ বিষয়ে মমতা নীরব থাকলেন, যা তার স্বভাবের সঙ্গে মানানসই নয়। মমতা এবারে তার সফরজুড়ে মিতবাক ও মনমরা হয়েই থাকলেন। সুতরাং বহুল প্রয়োজনীয় তিস্তার পরিবর্তে আমরা পুনর্বার  প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস বোঝাই আরেকটি ঝুড়ি পেলাম অথচ আমাদের দিকের ক্ষুধার্ত তিস্তা অববাহিকায় সেচের জন্য পানি ভীষণ দরকারি।
বাংলাদেশের প্রবীণ কূটনীতিক ফারুক সোবহান এরপর লেখেন, আমি এর আগের আরেকটি লেখায় বিশ্বাস ও আস্থা প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছিলাম। মোদির সফরের মধ্য দিয়ে কিছু অস্বস্তি ও সন্দেহ-সংশয়, যা অতীতে অগ্রগতিকে ব্যাহত করেছিল, তা  লক্ষণীয়ভাবে দূর হয়েছে। দীর্ঘ ভ্রমণের পথে মোদি প্রথম পদক্ষেপটি দিয়েছেন। তিস্তা চুক্তি সইয়ের জন্য আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত হবে দিল্লি সফর করা। আগামী ছয় মাসে সীমান্তে বিএসএফ দ্বারা কোন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। উভয় পক্ষের দ্বারা একটি টাস্কফোর্স গঠন হওয়া উচিত, যারা নিয়মিতভাবে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি করবে।

No comments

Powered by Blogger.