‘মা, মুই তোর কাছে যাইম’ -ভারতের আশ্রমে বন্দী রনি

অতিদরিদ্র বাবা-মা পাঁচ বছর আগে ছয় মাসের রনিকে নিয়ে ভারতে যান। সেখানে দিল্লির ঝরঝর জেলার শনিপথ থানার খরগোদা গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ নেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দুই মাস আগে বাবা-মা রনিকে দাদার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুসা ফেরুসা গ্রামে পাঠান। দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা (বিএসএফ) শিশুটিকে আটক করে। এ নিয়ে বিএসএফ-বিজিবি তিন দফা পতাকা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রনিকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
গত রোববার দুপুর ১২টায় কুরুসা ফেরুসা গ্রামে রনির দাদাবাড়িতে গেলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। শিশুটির বাবা-মা ওই দিন আসামের ধুবড়ি জেলা শহরের এক দালালের মাধ্যমে রনির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার সুযোগ পান। মুঠোফোনের স্পিকার চালু করতেই ওপাশ থেকে রনি বলে ওঠে, ‘মা, মুই তোর কাছে যাইম। মোক বাড়িত নিয়া যাও।’ ছেলের আকুতিতে মা রুনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শিশুটির বাবা জয়নাল আবেদীন (৩০) চোখের পানি মুছে বলেন, রনি আসামের এক আশ্রমে বন্দী।
৪৫ বিজিবির অধীন কুড়িগ্রাম সদরের দইখাওয়া ক্যাম্পের হাবিলদার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘রনিকে ফেরত চেয়ে বিএসএফকে পত্র দিয়েছি। তিন দিন পতাকা বৈঠক করেও লাভ হয়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

No comments

Powered by Blogger.