শামীম-আইভী ফের মুখোমুখি by বিল্লাল হোসেন রবিন

সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান আবারও নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে চাচ্ছেন। তাদের হুঙ্কারে নারায়ণগঞ্জবাসী  শঙ্কিত নয়। কারও বাড়ির ইট খুলে নেয়ার আগে তাদের নিজেদের বাড়ির ইট রক্ষা হয় কি না সেই ব্যবস্থা উনাদের করতে হবে। কারণ, যেদিন তাদের বাড়ি নিলামে উঠেছিল সেদিন নারায়ণগঞ্জবাসীর সঙ্গে প্রয়াত আলী আহম্মদ চুনকাও তাদের বাড়ি রক্ষা করেছিলেন। আজ উনারা আলী আহম্মদ চুনকার বাড়ির ইট খুলতে চান? এত বড় দুঃসাহস নারায়ণগঞ্জবাসী তাদের দেয়নি। একবার এসে দেখুক। ওনাদের অস্তিত্ব থাকে কি না?  শনিবার শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নতুন গ্যাস সংযোগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মানবজমিনকে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
ডা. আইভী বলেন, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান। এসব কাজ যাতে নির্দিষ্ট সময়ে সমাপ্ত হতে না পারে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নগরবাসীর কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না যায় এ জন্যই ওসমান পরিবার পরিকল্পিভাবে মাঠে নেমেছে। গত কয়েক দিন ধরে তাদের তৎপরতায় এটাই প্রমাণ হয়েছে।
নাসিম ওসমানের মৃত্যুর দায় নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকেই নিতে হবে, সেলিম ওসমানের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইভী বলেন, এক বছর পরে এ ধরনের কথা কেন?  আমি তো মনে করি, এটা পরিকল্পিতভাবে সেলিম ওসমান করছেন। তার স্বমূর্তি তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে প্রকাশ করলেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর যে কথা বলেছিলেন, উনি উনার ভাইদের থেকে একটু আলাদা। উনি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন করতে চান। উনি সাম্যের গান, গান। এগুলো সবই তাহলে মিথ্যা?
আইভী আরও বলেন, শনিবার সেলিম ওসমান যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিগত ৪-৫ দিন ধরে যেসব কথা বলছেন, এটাতে প্রতীয়মান হয় যে, উনি কোন অংশে উনার দুই ভাইয়ের (শামীম ওসমান ও প্রয়াত নাসিম ওসমান) তুলনায় কম নন। তারা কথায় কথায় মানুষকে পিষে মারতে চান। উনারা হেঁটে গেলে মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেই ধরনের বক্তব্য দিতে উনারা অভ্যস্ত, সেলিম ওসমানও তাদের বাইরে কেউ নন। তারা শহরবাসীকে পুনরায় ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে জিম্মি করে তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এই কাজগুলো করে যাচ্ছেন।
আইভী বলেন, তারপরও আমি মোটেও শঙ্কিত নয়। কারণ, আমি জানি নারায়ণগঞ্জের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তাছাড়া তাদের এই হুমকিধমকি তো আর নতুন শুনছি না। উনারা দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ মানুষকে এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। তাই শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। তাদের হুমকিধমকিতে এই শহরের মানুষ ভীত নয়। আমি কেন, নারায়ণগঞ্জের একজন পথচারীও জানে তারা কি করতে পারে। আর প্রশাসনকে উনারা যেভাবে ব্যবহার করছেন, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যন্ত যে কোন মানুষের পক্ষে এ ধরনের প্রশাসনিক সহযোগিতা যদি থাকে তখন বড় বড় কথা যে কেউ বলতে পারে।
ত্বকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আজকে ত্বকী হত্যাকাণ্ডের রহস্য খোলাসা হয়েছে। ‘দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি’ হয়ে গেছে। শামীম ওসমানের এ বক্তব্যে আইভী বলেন, তদন্তের মধ্যে তো আর বেরিয়ে আসেনি তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তদন্তেই তো দেখা গেছে আজমিরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে। যেটা তদন্ত করেছে একটি আইনশঙ্খলা বাহিনী এবং যদিও এখনও তারা চার্জশিট দেয়নি। কিন্তু সনামধন্য কয়েকটি জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি কাদের নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে এবং সেখানে স্পষ্টভাবে ১১-১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং চাইলেই তো আর কারও বিরুদ্ধে অপবাদ দিতে পারেন না। প্রমাণিত হয়েছে ওখানে তারা ছিলেন।
আমরা এখন যা বলতে চাচ্ছি, তারা ত্বকী হত্যাকাণ্ডের মোড় অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করছেন। যদি তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থেকে থাকেন, তাহলে তাদেরই দায়িত্ব প্রমাণ করা যে, ত্বকীকে কে বা কারা হত্যা করেছে।
‘যদি আমার নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ে চোখের ইশারা করি, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে তাদের বাড়ি-ঘরের ইট থাকবে না। কিন্তু আমি তা করিনি।’- শামীম ওসমানের এই বক্তব্যের জবাবে আইভী বলেন, কারও বাড়ির ইট খুলে নেয়ার আগে তাদের নিজেদের বাড়ির ইট রক্ষা হয় কি না সেই ব্যবস্থা উনাদের করতে হবে। কারণ, এই রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষকে যেমন থামিয়ে রাখা যাবে না, একইভাবে ত্বকী হত্যাকাণ্ডকেও আড়াল করা যাবে না। শহরের মানুষকে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেদের আধিপত্য ও অস্তিত্বকে জানান দেয়ার জন্য সেই কাজগুলো করে যাচ্ছেন।
আইভী বলেন, আমার তো মনে হয়, উনারা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এই শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছেন আওয়ামী লীগের। বাড়ি-ঘরের ইট খুলে নেয়ার দুঃসাহস তারা কোথা থেকে পায়? তারা কি জানে? নারায়ণগঞ্জের মানুষ যদি এক হয়, তাহলে উনাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান যা বলেছিলেন: শনিবার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নতুন গ্যাস সংযোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, ‘প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর দায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকেই নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ত্বকী হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরেই মানসিক যন্ত্রণায় নাসিম ওসমানের মৃত্যু হয়েছে। পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শামীম ওসমান বলেছে তার ৫ মিনিট লাগবে। শামীম ওসমান রাজনীতি করে। আর আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এলএমজি চালিয়েছি। আমি মুক্তিযোদ্ধা। বুড়ো হয়ে যেতে পারি কিন্তু থাবা ভুলি নাই। আমি কারও হুকুমে কাজ করি না। ঢোল বাদকরা সাবধান হয়ে যান। আমি আওয়ামী লীগ করি না কিন্তু আমার শ্রমিক আছে। আমার শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসলে চোখের পলক পড়া লাগবে না। যেখান দিয়ে যাবো ব্লুডোজারের মতো গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবো।’
একই অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান না, আমি শামীম ওসমান। যদি আমার নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ে চোখের ইশারা করি, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে তাদের বাড়ি-ঘরের ইট থাকবে না। কিন্তু আমি তা করিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের (নাসিম ওসমান) মৃত্যুর পর আমরা রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। সেলিম ওসমানকে জোর করে রাজনীতিতে আনা হয়েছে। কি অপরাধ করেছিল নাসিম ওসমান যে উনার মরণোত্তর বিচার করার কথা বলা হয়েছে। আর যারা বলেছে, তাদের ক্ষমতা কতটুকু?’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের কিছু নাস্তিক আছে, তারা ঢাকা থেকে আমদানি করে বড় বড় কমিউনিস্ট নেতা নিয়ে আসেন। যারা ঢাকায় নির্বাচন করে সবাই মিলে ৬ হাজার ভোটও পায়নি। তাদের একবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি, তাদের হাজার বার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেশটার চেহারা পাল্টে দিতে চায় তারা। তাদের কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যুটি স্বাভাবিক হয়নি। তার পরিবারকে ও তাকে মানসিকভাবে আঘাত করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ত্বকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। একটি পত্রিকা ছাড়া আমি সকল পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাদের লেখনীর কারণে আজকে ত্বকী হত্যাকাণ্ডের রহস্য খোলাসা হয়েছে। দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হয়ে গেছে।’
ত্বকী হত্যাকাণ্ডকে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজানোর চেষ্টায় ওসমান পরিবার- সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ:
এদিকে রোববার সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ এক বিবৃতিতে বলেছে, তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি করার জন্যে সম্প্রতি এ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ওসমান পরিবার তাদের অনুগত সংবাদকর্মীদের নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা তাদের পুরনো কিছু কথা দুই বছর পরে আজ নতুন করে উপস্থাপন করে এ হত্যায় ‘জজমিয়া নাটক’ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ থেকে অভিযুক্ত পরিবারটিকে রক্ষা করার জন্য যে এ ‘মিশন’ তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরছি -
তারা বলছেন, সম্প্রতি কতিপয় সংস্থার তদন্তে ত্বকী হত্যা নিয়ে কতগুলো অসঙ্গতি উঠে এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন সংস্থা নতুন করে ত্বকী হত্যা নিয়ে তদন্ত শুরু করলো? মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে র‌্যাবকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়ার পর এর বাইরে কোন সংস্থাই তদন্ত করছে না এবং করার সুযোগও নেই। সুতরাং এ কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর র‌্যাবের পক্ষ থেকে ‘আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ১১ জন ত্বকীকে হত্যা করেছে’ বলে জানানোর পর আর নতুন কোনও তথ্য হাজির করা হয়নি।
তারা বলছেন, র‌্যাবের অভিযানে আজমেরী ওসমানের টর্চারসেলে পাওয়া প্যান্টটি ত্বকীর হলে লাশ উদ্ধারের সময় ত্বকীর পরনে প্যান্ট এলো কি করে? এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, আজমেরী ওসমানের টর্চারসেলে পাওয়া প্যান্টটিকে কখন কে বলেছে ওটা ত্বকীর প্যান্ট? এটি যেমন ত্বকীর পরিবার থেকে কখনো বলা হয়নি, তেমনি অভিযান চালানো র‌্যাবের পক্ষ থেকেও কখনও তা বলা হয়নি। র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘রক্তমাখা প্যান্ট’। আর এ মামলার বাদী ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি বরাবরই বলেছেন, ত্বকীর পরনেই ত্বকীর প্যান্ট ছিল। আজমেরী ওসমানের টর্চারসেলে পাওয়া রক্তমাখা প্যান্টটি ত্বকীর নয়। শুধু মাত্র শামীম ওসমানই শুরু থেকে এ প্যান্টটিকে ত্বকীর প্যান্ট বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা বলছেন, ১৬৪ ধারায় দেয়া ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমরের জবানবন্দি ভিন্নতর। এখানে স্পষ্ট যে, উভয়ের জবানবন্দিতেই হত্যার ধরন ও হত্যাকারী হিসেবে যাদের নাম এসেছে তা অভিন্ন। উভয়ের জবানবন্দিতে নাম এসেছে লিটন, ভ্রমর, কালাম শিকদার, রাজিব, কাজল, শিপন, জ্যাকি, মামুন, অপু ও ড্রাইভার জমশেদের। যারা সবাই ওসমান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত। ভ্রমর তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে আজমেরীর টর্চারসেলে আজমেরীর নির্দেশে ও নেতৃত্বে তারা ত্বকীকে হত্যা করেছে আর লিটন তার জবানবন্দিতে আজমেরীর নাম উল্লেখ করেনি। কেন করেনি তা বের করার দায়িত্ব তদন্তকারী সংস্থার। আর জবানবন্দি কখনোই একজনের সঙ্গে আরেক জনেরটা হুবহু মিল হয় না। ঘটনার সত্য বের করবে তদন্তকারী সংস্থা- কখনোই অভিযুক্ত ব্যক্তি বা পরিবার নয়।
তারা বলছেন, ত্বকীকে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হলে বস্তা থেকে লাশ বের হলো কি করে? লিটন তার জবানবন্দিতে বলেছে, ব্যাগ খুলে ত্বকীকে বের করে কুমুদিনী খালের পাড়ে ফেলে দেয়ার পর তারা খালি ব্যাগটিতে ইট ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছে। লিটন উল্লেখ করেছে, ত্বকীকে ফেলে দেয়ার সময় তার পায়ে স্যান্ডেল ছিল।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আজকে নতুন করে ত্বকী হত্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে কোন লাভ হবে না। এসব করে ত্বকী হত্যার বিচার বিলম্বিত করা গেলেও কোনভাবেই তা বন্ধ করা যাবে না। আমরা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জানতে চাই, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ত্বকী হত্যায় নেতৃত্ব দেয়া আজমেরী ওসমান কিভাবে প্রকাশ্যে এবং আপনাদের সামনে ঘুরে বেড়াতে পারে? আমরা দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার এবং ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। ত্বকী হত্যা নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। এ হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেয়া অথবা ‘জজ মিয়া নাটক’ তৈরির অপচেষ্টাকারীদেরও একদিন বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.