সব হত্যারই বিচার হবে -খালেদা জিয়া

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। বলেছেন, নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার বিচার হতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশেই পিন্টুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারণ হাসিনার নির্দেশেই সবকিছু হয়। হাসিনারও বিচার হবে, পার পাবে না। সব হত্যারই বিচার হবে। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে গতকাল রাতে গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দেয়া বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীই সালাহউদ্দিন আহমেদ তুলে নিয়ে গেছে। সালাহউদ্দিন এখন কোথায়? সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, সালাহউদ্দিনকে ভালভাবে ফিরিয়ে দেয়া হোক। তার কোন ক্ষতি হলে কেউ রক্ষা পাবে না। সরকার যেভাবে সহিংসতা শুরু করেছে, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। খালেদা জিয়া বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে যাইনি বলে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। সেই নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছি। সে নির্বাচনে গেলে নাকি আমরা জিততে পারতাম। নির্বাচন ফেয়ার হলে অবশ্যই আমরা সেই নির্বাচনে যেতাম এবং অবশ্যই আমরা জিততাম। কিন্তু আমরা জানি সেই নির্বাচনে তাদের ভেতরে কি পরিকল্পনা ছিল। এমন সন্ত্রাসী মহিলার অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এর প্রমাণ ২৮শে এপ্রিল সিটি নির্বাচন। চট্টগ্রামে একজন নামকরা সন্ত্রাসীকে তারা মনোনয়ন দিয়েছে। সে হত্যা মামলার আসামি এবং ১৪ বছর লুকিয়ে ছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন প্রশ্ন রেখে বলেন, ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস কেন বেল পাবে না? তাদের যত সন্ত্রাসী সবাই বেল পায়। তারা অস্ত্র নিয়ে চলতে পারে, নির্বাচন করতে পারে। আর সব বাধা বিএনপির জন্য। আমার কমিশনারদের ধরে নেয়া হয়েছে। কাজেই কিভাবে এদেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে? খালেদা জিয়া বলেন, আমার উপরে যেভাবে হামলা হয়েছে তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমার জীবন বাঁচানোর জন্য সেদিন নিজস্ব সিকিউরিটি জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিভাবে রাস্তায় ফেলে একজন সিকিউরিটি কর্মকর্তাকে পিটিয়েছে আপনারা সেটা দেখেছেন। সে একজন আর্মি অফিসার। তার কাছে লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। তার জীবন রক্ষার্থে সেদিন গুলি ও করতে পারতো। অথচ সে মার খেয়েছে কিন্তু গুলি করেনি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অথর্ব, নির্বোধ। তারা চোখে দেখে না। তারপরও বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনাদের বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের ওপর কিভাবে হামলা করেছে সেটা আমরা রামুতে দেখেছি। অথচ তারা বলে এসব নাকি বিরোধী দল করেছে। নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী তারা। তার দলের লোক করেছে এবং তারা পুরস্কার হিসেবে তাকে এমপি করেছে। আপনাদের সমস্ত বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙে ধ্বংস করে ফেলেছে। আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছে। বাকি যা ছিল চুরি করে নিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় হিন্দু বাড়িতে ঢুকে মন্দিরে ঢুকে জোর করে মূর্তির স্বর্ণ অলংকার লুট করেছে। এরপর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আর তারা বলে, ‘আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ’। এর মানে, আমরা কোন ধর্মই মানি না। কোন ধর্মের মানুষই আমাদের কাছে নিরাপদ না। কাজেই আজ নিরাপত্তা নেই কোন ধর্মের মানুষের।

No comments

Powered by Blogger.