রুবেলের আংটি বদল এবং হ্যাপির চিঠি

শিগগিরই বিয়ে করছেন ক্রিকেট অঙ্গনে ঝড় তোলা ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেন। পাত্রী তার নিজ জেলা মুনিগঞ্জ মালোপাড়ার। সবকিছু ঠিক থাকলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজের পরেই বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে। এদিকে বিয়ের এ খবরে ‘আলোচিত’ অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি রুবেলের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি পাত্রী এবং রুবেলের ব্যাপারে নানা তীর্যক মন্তব্য করেছেন। জানা গেছে, রুবেলের মা-বাবা উদ্যোগী হয়েই এই বিয়ের ব্যবস্থা করছেন। পারিবারিকভাবেই বিয়ের কথাবার্তা চলছে। তবে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বাগেরহাট শহরের মুনিগঞ্জ মালোপাড়ার ওই মেয়ের নাম দোলা। তার পিতা একটি ওষুধ কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার। গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থানার পশারীবুনিয়ায়।
রুবেল ও দোলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক আগে রুবেলের পিতা ও এক মামা দোলাদের বাড়ি দেখে গেছেন। একইভাবে দোলাদের পক্ষ থেকেও তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। কোন পরিবারই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। রুবেলের মা ও পিতা জানিয়েছেন, তাদের ছেলের এখন একটাই লক্ষ্য ভাল খেলা উপহার দেয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল খেলাই তার একমাত্র লক্ষ্য। ছেলের বিয়ের খবরটি রুবেলের মা-ও অস্বীকার করেননি। তবে বলেছেন, এখনই নয়, রুবেল পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্ট ম্যাচের আগে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহী নয়। রুবেলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে বিয়ের পাত্রী এক দফা রুবেলের নাগেরবাজারের বাড়িও ঘুরে গেছে। আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যখন রুবেল প্রথম টেস্ট খেলছেন তারই কোন একদিনে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকজন আনুষ্ঠানিকভাবে পাত্রীও দেখে এসেছেন।
হ্যাপির খোলা চিঠি: এদিকে রুবেলের বিয়ের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে যাওয়ার পর ফেসবুকে তাকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি লিখেছেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। শনিবার তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
রুবেলের উদ্দেশে হ্যাপি লিখেন, আমি জানি আপনি খুবই ভাল আছেন। থাকাটাই মনে হয় সাধারণ ব্যাপার। আপনার মতো মানুষ সবসময় ভালই থাকে। আপনার আংটি বদল হয়েছে আমি আগেই জেনেছি। পাকিস্তান সিরিজের পর বিয়ে করছেন তা-ও জানি। যাকে বিয়ে করছেন তার বিষয়ে আপনি অবশ্যই অবগত আমিও অবগত আছি। তার নাম দোলা। বাগেরহাট-এর মুনিগঞ্জ বাড়ি। পষধংং ৮- এ অধ্যয়নরত দুইবার জেএসসিতে ফেল। পাস করতে পারছে না। বাগেরহাটে তার অনেক সুনাম বিশেষ করে ইয়াং ছেলেদের কাছে এক নামে পরিচিত। কারণ, অনেক ছেলেদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর কারণে। দেখতে নাকি ভাল! এখন একটা কথা বলতে ইচ্ছা করছে, মাকাল ফল দেখার সাধ মিটেছে আমার। তবে একটা কথা আল্লাহ মানুষকে ভাল সময় এবং অর্থ দিয়ে পরখ করেন। হয়তো বা এটা আপনার বোধশক্তির বাইরে। সব মানুষই তার কর্মফল ভোগ করবে। মনে রাখবেন আপনিও মানুষ এবং অবশ্যই আপনি এই নিয়মের বাইরে না। আপনার জীবনে হয়তো আরও অনেক ভাল সময় আসবে, হয়তো নিজের অন্যায়গুলোও ভুলে যাবেন। ওপরে একজন আছেন, তিনি কিছুই ভুলবেন না। আমার সঙ্গে এত বড় অন্যায় আল্লাহ তায়ালা কিছুতেই সহ্য করবেন না। আমিও দেখবো আমার জীবনটা শেষ করে কত দিন ভাল থাকতে পারেন। মানুষের শরীর কেটে যখম হলে আমরা দেখতে পারি কিন্তু ভেতরের খবর কেউ জানতে পারি না। আমার ভেতরটা আপনি একদম শেষ করে দিয়েছেন। আমি কাঁদলে চোখ থেকে শুধু পানি বের হয় না, আমার হৃদয় জখম হওয়ার নষড়ড়ফ বের হয়। যা কাউকে দেখাতে পারি না। একটা মানুষ কথা বললে, হেঁটে বেড়ালেই বেঁচে থাকা বলে না। আমাকে অনেক আগেই নিজ হাতে খুন করেছেন। আমি শুধু আল্লাহকে বলি তিনি  যেন এই অন্যায় সহ্য না করেন। আপনি আপনার বউকে নিয়ে কোন বাসায় থাকবেন! যে বাসার সবগুলো দেয়াল, আসবাবপত্র আমার ছোঁয়াতে অভ্যস্ত। আপনি কোন হাতে কারও হাত ধরবেন? যে হাত আমার হাত ছাড়া কিছু বুঝতো না! যে বুকে মাথা রাখার জায়গাটা শুধু আমার, সেই জায়গাতে অন্য কেউ! বাহ! রুবেল বাহ! এত ভাল অভিনেতা দুনিয়া আর পাবে না। আল্লাহ এখনও কেন চুপ করে আছেন? মনে রেখো আমার ভালবাসা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে খুব তাড়াতাড়ি তোমার বিচার তুমি পেয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ! একটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলে তুমি ভাল থাকতে পারবে না। আমার চোখের পানির মূল্য তোমাকে দিতেই হবে। ইতি- হ্যাপি

No comments

Powered by Blogger.