মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত বেড়ে ৫

ঝড়ো-হাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বসুরচর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেড ও যাত্রীবাহী ট্রলারের মধ্যে সংঘর্ষে নিখোঁজ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ৫-৭ জন। আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত শিশুসহ ৫ জনের লাশ মেঘনায় ভেসে উঠলে ডুবুরিরা তা উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৯টায় গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ফেরিঘাট থেকে একটি ইঞ্জিন নৌকা (ট্রলার)যোগে ৫০-৬০ জন যাত্রী চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) থানার বেলতলী সোলায়মান ফকির (লেংটার) মাজারে যাওয়ার পথে বসুরচর সংলগ্ন মেঘনা নদী অতিক্রম করার সময় ‘মা বাবার দোয়া’ নামের বালুভর্তি একটি বাল্কহেড যাত্রীবাহী ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে সেটি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় ১০-১২  জন যাত্রী নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪ যুবকের লাশ (৩৪), (২২) ও এক কন্যা শিশুর (৪) লাশ উদ্ধার হয়েছে। শিশুর নাম মারিয়া। সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার মনির হোসেনের কন্যা। অপর ২ যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। গজারিয়ো থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান জানান, ডুবুরিদল সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। আংশিক ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার ও ঘাতক কার্গোটি জব্দ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মেঘনাপাড়ে নিখোঁজদের স্বজনদের চোখে পড়ছে না। সে কারনে নিখোঁজের সংখ্যা এখন ৫-৭ জন হতে পারে। উদ্ধারকৃত লাশ ভাষানচর এলাকায় রাখা হয়েছে।  তিনি জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের একটি দল এবং গজারিয়া থানা পুলিশসহ ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.