‘ও মাই গড এগেইন’

পেসার রুবেল হোসেনকে নিয়ে অনেক নাটক করেছেন হ্যাপি। রুবেলের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন। জেলও খাটিয়েছেন এই পেসারকে। বিয়ে না করলে বিশ্বকাপে যেতে দেবেন না, এ নিয়ে বহু জনের কাছে ধরনা দিয়েছেন হ্যাপি। নানা জনকে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন রুবেল বিশ্বকাপে গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। যদিও হ্যাপির এসব কর্মকাণ্ডে কর্ণপাত করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রুবেল হোসেনকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে তার প্রমাণ দিয়েছে বিসিবি। জেলে থাকার কারণে শুরুর দিকে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি, রুবেলের ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এতেই আস্তে আস্তে চরিত্র পরিবর্তন করতে থাকেন এই চিত্রনায়িকা। বিশ্বকাপে রুবেলের পারফরমেন্স থেকে মামলা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর গতকাল যা করলেন তা তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রুবেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুবেলকে নিয়ে নানারকম স্ট্যাটাস দিতে শুরু করেন নাজনিন আক্তার হ্যাপি। শুরুতে রুবেলকে উৎসাহ যুগিয়ে হ্যাপি লিখেন, ‘ওয়েল ডান রুবেল’। হ্যাপির দ্বিতীয় স্ট্যাটাসটা ছিল, ‘ইয়েস আই এম ভেরি হ্যাপি! গট উইকেট!! ওয়েল ডান বাবু... কিপ ইট আপ। হ্যাপির তৃতীয় স্ট্যাটাসটি ছিল ও মাই গড!!! এগেইন!!!! থ্যাক আল্লাহ! আই লাভ ইউ বাবু। উল্লেখ্য, দুজনের মধ্যে প্রেম চলাকালে হ্যাপি রুবেলকে বাবু বলতো। ম্যাচ শেষে সর্বশেষ স্ট্যাটাস দেন হ্যাপি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ... আমার কিছু বলার নেই।’
এর পরেই বিভিন্ন ধরনের আপত্তি কর মন্তব্য পেতে শুরু করেন হ্যাপি। অনেকে হ্যাপিকে গালাগালিও করেন রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করায়। তাদের উদ্দেশ্যে হ্যাপি আকেরটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে হ্যাপি লিখেন- অনেকে বলছেন এই খুশি আমার না, তাদের বলছি আমি খুশি মানে রুবেলের অনেক কিছু....! আপনারা সবাই খুশি হন বাংলাদেশ জিতলে আর দেশের জন্য রুবেল ভালো খেললে বাট আমি খুশি হই রুবেল খুশি হলে, আমি কখনও ক্রিকেটের ফ্যান না, আর আমাকে রুবেলই ভাল চেনে। কে কি বললো এগুলো গায়ে মাখানোর টাইম নাই... ফিলিং গুড।
উল্লেখ্য, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন চিত্রনায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপি। এ মামলায় গত বছরের ১৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে চার সপ্তাহের আগাম জামিন  নেন রুবেল হোসেন। স্থায়ী জামিনের ৮ই জানুয়ারি সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমপণ করে জামিন চান রুবেল। শুনানি শেষে বেলা পৌনে একটার দিকে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালত। ১২ই জানুয়ারি নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন রুবেল। এরপরই রুবেলের জামিন বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন হ্যাপি। পরবর্তীতে হাইকোর্টে করা হ্যাপির রিটটি খারিজ হয়ে যায়। জামিনে মুক্তির পরদিন ১২ই জানুয়ারি থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্পে অনুশীলনে যোগ দেন এই ক্রিকেটার। ২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ ছবির মাধ্যমে হ্যাপির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন বদরুল আমিনের ‘রিয়েলম্যান’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘লাল সবুজের সুর’, মেজবাহ শিকদারের ‘অন্যরকম’, জামশেদুর রহমানের ‘ছন্দপতন’ ছবিতে।

No comments

Powered by Blogger.