রেডমিটও আছে অনেক গুণ

রেড মিট বা লাল গোশতের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে শুনতে শুনতে, অনেকেরই মনে হতে পারে লাল গোশত তথা গরু-খাসির গোশতের বুঝি কোনো ভালো গুণই নেই। আসলে রেডমিট সম্পর্কে সর্তকবাণীর প্রায় পুরোটাই বয়স্কদের জন্য। যাদের বয়স ৩০-এর নিচে, রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক আছে, মেদাধিক্য নেই, ওজনও স্বাভাবিক তাদের জন্য লাল গোশতের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ঠিক হবে না।

রেড মিট বা লাল গোশত অনেকেই মজা করে খান; কিন্তু অবাক ব্যাপার হচ্ছে কেউ কেউ গরুর গোশতকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন। এর কারণ হলো রেডমিটের পক্ষ ও বিপক্ষ দুই দলই চরম পক্ষপাতিত্বের বিবেচনায় রেডমিটকে বিচার করছেন। আসলে কৃশকায় গরুর গোশতকে স্বাস্থ্যকরই বলা চলে। কারণ তাতে কোলেস্টেরল থাকে কম। এ ধরনের গরুর সাধারণ গোশত দৈনিক ৫০-১০০ গ্রাম গ্রহণে খুব একটা অসুবিধা নেই। তবে কথা হচ্ছে, হৃদরোগ বা ক্যান্সার ঝুঁকি থাকলে রেড মিট এড়িয়ে চলা উচিত। আবার এ কথাও ধ্রুব সত্য, গরুর গোশত বা রেডমিট হচ্ছে প্রাণিজ প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, থায়ামিন, রিবোফ্ল্যাভিন, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি১২-এর অন্যতম উৎস। এই গরুর গোশতই হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাবার যদি গরুর গোশতের চর্বি বাদ দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে খাওয়া যায়। পাশাপাশি এই রেড মিটই আবার হৃদরোগ এবং কোনো কোনো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়; কিন্তু কৃশকায় গরুর গোশত বা চর্বি বাদ দেয়া গরুর গোশতে এই সম্পৃক্ত চর্বি খুবই কম থাকার জন্য ঝুঁকিও কম। তবে রেডমিটের এসব ঝুঁকির পেছনে মূলত দায়ী গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণ।

No comments

Powered by Blogger.