বয়স তার ১২৬ হাঁটেন লাঠিছাড়া

১২৬ বছর তিনি বেঁচে আছেন। তিনি এমনটিই দাবি করছেন। তার পিতা-মাতা ছিলেন আফ্রিকান দাস। হোসে আগুইনেলো দোস সান্তোস নামের এই ব্রাজিলিয়ান নাগরিকের দাবি যদি সঠিক হয়, তাহলে তিনিই হচ্ছেন দুনিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি, যার প্রমাণাদি আছে। তিনি তার বয়সের স্বপক্ষে নিজের জন্মসনদ দেখিয়েছেন। ব্রাজিলের দক্ষিণের শহর পেদ্রা ব্রাংকাতে জন্ম নিয়েছিলেন ১৮৮৮ সালের ৭ই জুলাই। অর্থাৎ দুনিয়ার শেষ দেশ হিসেবে ব্রাজিলে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মাত্র ২ মাস পর তার জন্ম। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তিনি এখনও ব্যাচেলর, বিয়ে করেননি। কোন সন্তান নেই তার, লাঠি ছাড়াই হাঁটেন এখনও। ৫০ বছর ধরে প্রতিদিন একটি করে সিগারেট পান করেন। তার কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই। ব্রাজিল লিজেন্ড পেলে যখন জন্ম নেন, তখন তার বয়স ৫২ বছর। ব্রাজিল যে বার ১৯৫০ সালের সেই ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ আয়োজন করে, তখন তার বয়স ৬২! ব্রাজিলের জি-১ ওয়েবসাইটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে  তিনি বলেন, লম্বা জীবনের কোন রহস্য নেই। সত্য হচ্ছে আপনি ক্রমেই বুড়ো হচ্ছেন। আপনি একটা সময় প্রতিটা পর্যায়ে আসবেন। আমার বয়স এত বেশি, এর কারণ আমি অনেকদিন বেঁচেছি। স্থানীয় মনোবিদ মারিয়ানা সিলভা বলেছেন, হোসের কোন শারীরিক সমস্যা নেই। তার উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ- কোনটিই নেই। তিনি একটি ভিটামিন ট্যাবলেট ও ক্ষুধা বৃদ্ধির জন্য একটি ট্যাবলেট ছাড়া আর কোন ওষুধ গ্রহণ করেন না। যখন মন ভালো থাকে, তখন তিনি গান গাইতে পছন্দ করেন। কিন্তু কেউ জানে না, কি গান তিনি গান! তিনি এমন এক সময়ের গান করেন, যেই সময়ের গানের কথা কারও মনে নাই। তিনি প্রতিদিন গোসল করেন না। মাঝেমাঝে তাকে গোসল করানোটাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তবে তিনি নিজের জন্ম সনদ পেয়েছেন গত সপ্তাহে, এতদিন ধরে তার কোন প্রমাণাদি ছিল না। বিশেষজ্ঞদের একটি দল এসেছেন, তার জন্ম তারিখ পরীক্ষা করতে। স্থানীয়রা আশা করছেন যে, কার্বন-১৪ পরীক্ষার মাধ্যমে তার বয়স সমপর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি পৃথিবীর বয়স্কতম মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। স্থানীয় নেতা হোসে রোবার্তো পাইরেস বলেন, ১৩ হাজার ইউরো খরচ হবে জেনেও আমরা এই পরীক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি বলেন, আমরা এত টাকা খরচ না করে বয়স প্রমাণের চেষ্টাও করছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বের বয়স্কতম মানুষ আমাদের সঙ্গে এখানে থাকছেন, এবং সেই পরীক্ষাই হচ্ছে তার বয়স প্রমাণের একমাত্র উপায়।

No comments

Powered by Blogger.