একসঙ্গে সরকারে ও বিরোধী দলে থাকা যায় না- বিশেষ সাক্ষাৎকারে গোলাম মোহাম্মদ কাদের by মিজানুর রহমান খান

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কোচবিহারের দিনহাটায়। রংপুরের কারমাইকেল কলেজ পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৬৯ সালে। ১৯৭০ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে। এর অবসান ঘটে ২১ বছর পরে, ১৯৯১ সালের বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনমলে। পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালকের (প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশন) পদ থেকে তাঁকে ওএসডি করা হয়েছিল। তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ, প্রথম ১৯৯৬ সালে। বিগত মহাজোট সরকারে তিনি প্রথমে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং পরে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

- সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান
প্রথম আলো - আপনি একজন রাজনৈতিক এতিম।
জি এম কাদের - না, আমি ভালো আছি। যে রাজনীতি এত দিন বুঝে এসেছি, সেটা আর নেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মালিক জনগণ।
প্রথম আলো - সরকারপ্রধানের হাতে সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদ যেমন সব ক্ষমতা দিয়েছে, তেমনি জাপার গঠনতন্ত্রের ৩৯ অনুচ্ছেদে আছে চেয়ারম্যান যা খুশি সিদ্ধান্ত নেবেন৷ এ থেকে আমরা বেরোতে পারি না কেন?
জি এম কাদের - এ থেকে বেরোনোর জন্য এক-এগারোর পর দলগুলোকে যখন নিবন্ধিত হতে বলা হলো, তখন আমরা এটা চাইলেও দুই বড় দল চায়নি৷ তাই হয়নি৷
প্রথম আলো - আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতেও কি একই রকম ধারা আছে?
জি এম কাদের - কার্যত আছে।
প্রথম আলো - আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সমষ্টিগত নেতৃত্বের কথা ছিল। এটা এখন আর নেই৷ আর আপনারা সবাই এক নেতায় ভক্ত৷ কী করে বের হবেন?
জি এম কাদের - আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা পরিবর্তনের পক্ষপাতী। তবে সবার মতামত নিয়েই তো দল চলে।
প্রথম আলো -কথাটা সেখানেই৷ এক নেতা কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠেন দলের সমর্থনেই।
জি এম কাদের - এটা সত্য৷
প্রথম আলো - কিছুদিন আগেও আপনি মন্ত্রী ছিলেন৷ এখন নেই বলে সমালোচনা করছেন। এটা স্ববিরোধিতা নয়?
জি এম কাদের - আমি সব সময় এর বিরুদ্ধে ছিলাম। সংসদে, আমার লেখালেখিতে এর ছাপ পাবেন৷
প্রথম আলো - পরিবর্তনের জন্য আমাদের একজন নেতার অপেক্ষায় থাকতেই হবে?
জি এম কাদের - বদলের গান দলগতভাবে হয়তো নেই। ব্যক্তিগতভাবে অনেকের মধ্যেই আছে। আমি অনেক সময় এটা প্রকাশ করেছি।
প্রথম আলো - আপনারা সংখ্যালঘু৷ তাহলে পরিবর্তন কীভাবে আসবে?
জি এম কাদের - এটা ঐতিহাসিকভাবে দেখতে হবে। সামন্ততান্ত্রিক শৃঙ্খল মানসিকভাবে আমরা ভাঙতে পারিনি।
প্রথম আলো - আপনি মনে করেন বর্তমান সংসদীয় বিরোধী দল, মানে জাতীয় পার্টি সাংবিধানিক নয়৷ আসলে গোটা সরকারব্যবস্থাই সংবিধানের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করে চলছে৷
জি এম কাদের - আমি বলেছি বিরোধী দলের ব্যাপারে, সরকারের ব্যাপারে নয়। জাপা একই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ও বিরোধী দলে—সেটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অবাস্তব।
প্রথম আলো - বিরোধী দল অসাংবিধানিক, সরকার সাংবিধানিক, সেটা বলতে পারেন না।
জি এম কাদের - আমি একমত।
প্রথম আলো - নির্বাচনে এরশাদ সাহেব গৃহীত, আপনি প্রত্যাখ্যাত। কারণ, রওশনের স্থানে সরকার আপনাকে নিরাপদ ভাবেনি।
জি এম কাদের - ঠিকই বলেছেন। জাপা প্রথমেই বলেছিল, সবাই নির্বাচনে না এলে আমরা নির্বাচন করব না।
প্রথম আলো - কেন আশা করেছিলেন বিএনপি আসবে?
জি এম কাদের - রাজনীতিতে সবকিছুকেই নেতিবাচকভাবে নেওয়া ঠিক নয়। আসার সুযোগ তাদের ছিল। তাই বলেছিলাম সবাই মিলে এলে নির্বাচনটা হবে। পরে এরশাদ সাহেব ও আমি নির্বাচন করিনি। কিন্তু ওনারটা পাস করানো হয়েছে। আমারটি হয়নি।
প্রথম আলো - তাঁর সিএমএইচে গমন থেকে বিশেষ দূত হওয়া আবার সরকারের নিন্দা করা একটি সাজানো নাটক৷ আপনি কী বলবেন।
জি এম কাদের - এটা নাটক বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করতে পারছি না। সিএমএইচে আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আন্তরিকভাবে তিনটি জায়গায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে চিঠি পাঠিয়েছিলেন৷ এতে নাটক নেই।
প্রথম আলো - রওশন আপনার ভাই এরশাদের সামনেই বলেছেন, তাঁর সম্মতিতে দল নির্বাচনে গেছে। এরশাদ তার প্রতিবাদ করেননি৷
জি এম কাদের - (হাসি) এটা আমি অবশ্য বলতে পারব না।
প্রথম আলো - অভিযোগ আছে যে এরশাদ নন, জাপা চালায় সরকার৷ যেমন মন্ত্রিত্বপ্রত্যাশী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মহাসচিব হওয়া৷ দুধের স্বাদ দুধেই৷
জি এম কাদের - এটা ঠিক, উনি দলে অনেক জুনিয়র। তাঁকে মহাসচিব করায় দলে অনেক বিতর্ক এসেছে। সরকার জাপাকে, বিশেষ করে তার সংসদীয় দলকে শাসন (ডমিনেট) করছে। এর ওপর এরশাদের মুঠো আলগা হয়ে যাচ্ছে।
প্রথম আলো - ভয়, বার্ধক্য, নাকি অদৃশ্য শক্তি তাঁকে তাড়া করছে? বিশেষ রাষ্ট্রদূত হয়েও সরকারকে তিনি মুসোলিনি ও হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচনা করছেন। রহস্যটা কী?
জি এম কাদের - (হাসি) রহস্য বটে। আমরা যেটা দেখছি, উনি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেন৷ পরে সুযোগ বুঝে একটা নিজস্ব রাজনীতি বের করেন। ভবিষ্যতে বোঝা যাবে, এটা থেকে তিনি নিজে বা জাতীয় পার্টি সুফল পাবে কি না।
প্রথম আলো - রবের পরে রওশন গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা৷ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নয় কি?
জি এম কাদের - যেকোনো কারণেই হোক, এরশাদ সাহেব এখানে মূল খেলোয়াড় নন। বেগম রওশনই সেই অবস্থানে আছেন। নির্দিষ্টভাবে বললে এরশাদ নন, নামটি আসবে রওশনের।
প্রথম আলো - আপনি তাঁর দেবর হিসেবে বলুন, ভাই-ভাবির সম্পর্ক কেমন যাচ্ছে?
জি এম কাদের - সম্পর্ক সব সময় যেমন ছিল তেমনই যাচ্ছে।
প্রথম আলো - কথাটা দাম্পত্য জীবন মধুর যাচ্ছে সেদিক থেকে বুঝব, নাকি রাজনৈতিক অর্থে?
জি এম কাদের - দুটোই বলতে পারেন। ব্যক্তিগত সম্পর্ক আগের মতোই ভালোমন্দ মিলিয়ে আছে। আর রওশন রাজনীতি থেকে সব সময় দূরত্ব রেখে চলতেন। হঠাৎ তিনি দীপ্যমান হয়ে উঠলেন। আবার নিজেকে গুটিয়েও নিয়েছেন।
প্রথম আলো - বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে একজন তারেক রহমানের উত্থান কিংবা আপনার দলটি প্রধান দুই দলে বিলীন হতে পারে। এরশাদের বিশেষ রাষ্ট্রদূত পদ এবং জাপার মন্ত্রিত্ব ত্যাগ কি কল্পনা করতে পারেন?
জি এম কাদের - বিশ্বাসযোগ্যতা একটি বড় বিষয়। রাজনীতিতে শুধু সরকারি দল থাকলে চলে না। সম্পদের অভাব ও জনসংখ্যার আধিক্যনির্ভর একটি দেশে বিরোধী দলের আনুষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ থাকতে হবে৷ না হলে কোনো ধরনের একটি উগ্র পন্থার উত্থান ঘটতে পারে। চলমান শূন্যতা সুষ্ঠু রাজনীতি দিয়ে পূরণ হওয়া উচিত৷
প্রথম আলো - সরকারের সঙ্গে এখনই সম্পর্ক ছিন্ন না করলে জাপার অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে কি?
জি এম কাদের - সেই আশঙ্কা আছে।
প্রথম আলো - দল টেকাতে নির্দিষ্ট সুপারিশ রাখবেন?
জি এম কাদের - রাজনীতির দুটো পক্ষ থাকে। জাপা এই মুহূর্তে বিরোধী পক্ষ, না উভয় পক্ষ—এ ধরনের একটি অবস্থানে আছে। এটা সাধারণ মানুষের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এ থেকে উদ্ধার পাওয়া উচিত। জাতীয় সরকারের মডেল ক্রান্তিকালীন৷ এটা ছাড়া যেকোনো স্বাভাবিক সরকারের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বিরোধী দল অপরিহার্য। একটি সর্বদলীয় সরকারে জাপা থাকতে পারে, কিন্তু বর্তমান অবস্থায় থাকতে পারে না। তাকে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকায় যেতে হবে। যেসব বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করা দরকার, সেটা করতে হবে। তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রথম আলো - আপনি প্রকারান্তরে জাপা মন্ত্রীদের অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছেন।
জি এম কাদের - শুভস্য শীঘ্রম৷
প্রথম আলো - এরশাদ চান?
জি এম কাদের - তিনি বলেছেন, তাঁদের সরে আসা উচিত।
প্রথম আলো - তাহলে এই বিষয়ে দুই ভাইয়ের সহমত দেখছি। রওশন কি আপনার সঙ্গে একমত হবেন?
জি এম কাদের - এটা তাঁর বিষয়৷ আমি বলতে পারব না৷
প্রথম আলো - আপনার ভাই ও ভাবিকে সবশেষ আপনি কবে বৈঠক করতে দেখেছেন?
জি এম কাদের - নির্বাচনের আগে।
প্রথম আলো - এরপর কি আর বৈঠকে বসেননি?
জি এম কাদের - বসেছেন। প্রেসিডিয়ামের একটি বৈঠক হয়েছে।
প্রথম আলো - এই হাঁড়ির খবরে আঁচ পেতে চাই যে এরশাদ দম্পতি তথা প্রধানমন্ত্রীর দুই দক্ষিণহস্তের রাজনৈতিক মিথস্ক্রিয়া কীভাবে ঘটছে। ওঁদের সংলাপ কী করে চলে?
জি এম কাদের - বেশির ভাগ টেলিফোনে। সামনাসামনি দেখা-সাক্ষাৎও হয়।
প্রথম আলো - কে কোথায় থাকেন?
জি এম কাদের - রওশন গুলশানে। এরশাদ বারিধারায়।
প্রথম আলো - রওশন কি এরশাদের দেওয়া বাড়িতেই থাকেন?
জি এম কাদের - সেই বাড়িটি বিক্রি করে রওশন নতুন বাড়ি কিনেছেন।
প্রথম আলো - তার মানে এরশাদের উপহার নয়।
জি এম কাদের - সেটা বলা যায় না। কারণ, তিনি তো কখনো চাকরি করেননি। উপহারের বাড়ি বেচেই নতুন বাড়ি কিনেছেন।
প্রথম আলো - এই এক বছরে এরশাদ কতবার ওখানে গিয়েছেন?
জি এম কাদের - সেটা বলতে পারব না।
প্রথম আলো - রওশন কতবার গেছেন বারিধারায়।
জি এম কাদের - এক-দুবারের বেশি নয়।
প্রথম আলো - দুজনের দুটি পুরো আলাদা ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাজগৎ গড়ে উঠতে পারে কি না।
জি এম কাদের - নিশ্চয়।
প্রথম আলো - মেলবন্ধনটা কোথায়—স্বামী, না দলের চেয়ারম্যানের প্রতি?
জি এম কাদের - সেটা স্বামীর প্রতি।
প্রথম আলো - তার মানে, রাজনৈতিক কার্যক্রমের চেয়ে এখনো স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক জোরালো।
জি এম কাদের - আমি তাই মনে করি। চেয়ারম্যানের নির্দেশনা তিনি মানেন।
প্রথম আলো - আপনার বাণিজ্যমন্ত্রিত্বে আমরা জিএসপি হারালাম৷
জি এম কাদের - অনেক দিন ধরেই তারা সতর্ক করেছিল। সরকারের ঘাটতি ছিল না বলব না।
প্রথম আলো - এলসি ছাড়া আমদানি ক্ষতিকর। আপনি তা বন্ধ করে চাপে ছিলেন?
জি এম কাদের - আমি বাজারের দাম যুক্তিসংগত রাখতে চেয়েছি।
প্রথম আলো - বিএনপির আমলে সিন্ডিকেট শুনতাম। কী দেখে এলেন?
জি এম কাদের - অনেক পণ্যদ্রব্য মুষ্টিমেয় ব্যক্তি আমদানি করেন। লবণ ও ডিমের মতো পণ্যের ঘাটতি দেখলেই আমদানি উন্মুক্ত করতাম৷
প্রথম আলো - ভোজ্যতেল ও চিনি আসলে কতজনের মুঠোয়?
জি এম কাদের - পাঁচ-ছয়জন৷
প্রথম আলো - তাঁরা কে কোন দল করেন?
জি এম কাদের - ব্যবসায়ীরা সব দল করেন।
প্রথম আলো - দ্রব্যমূল্যের দাম কি কার্যকরভাবে তদারক করা সম্ভব?
জি এম কাদের - হ্যাঁ ৷ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইন করেছি। এখন একটা কমিশন লাগবে।
প্রথম আলো - এক-এগারোর লাভের বিমান লোকসানি করলেন কীভাবে?
জি এম কাদের - প্রথমে ছিল না। পরের দিকে হয়েছে। এখানে বিশাল দুর্নীতি আছে।
প্রথম আলো - কত টাকার দুর্নীতি? অনুমান করতে পারেন? চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে ১২২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
জি এম কাদের - বলতে পারব না। যত লোকসান দেখেন, তা ঠিক চিত্র নয়। এর চেয়েও বড় দুর্নীতি আছে৷
প্রথম আলো - বিমান পরিচালনা পর্ষদ একটি আমলানিয়ন্ত্রিত শ্বেতহস্তী৷ এটি সামলাতে আপনি কি ব্যর্থ হননি?
জি এম কাদের - ভেঙে দিতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ব্যর্থ হয়েছি।
প্রথম আলো - তিস্তায় লংমার্চ করার পর জাপার নেতা পানিসম্পদমন্ত্রী হলেন। রংপুর দেখছে, তিস্তায় পানি নেই।
জি এম কাদের - মানুষ আস্থা হারাবে। জাপা থেকে কে মন্ত্রী হবেন, তা জাপা বা এরশাদ ঠিক করেননি। সেখানেও হতাশা আছে।
প্রথম আলো - জাপা তিস্তায় অন্তর্বতী চুক্তি করেছিল। এখন পারছে না কেন?
জি এম কাদের - কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
প্রথম আলো - টিকফা সই করলেন, এটা যদি এতই নির্দোষ হবে, তাহলে এতকাল ঝুলল কেন?
জি এম কাদের - এর প্রতিটি শব্দ পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ, এত জ্ঞানী–গুণী আপত্তি করেছিলেন। কিছুই দোষনীয় পাইনি।
প্রথম আলো - আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর পার করবে?
জি এম কাদের - মানুষ সুশাসন চায়। এটা পেলে মানুষ অশান্ত হবে না।
প্রথম আলো - বিএনপি হটাতে পারবে না?
জি এম কাদের - বিএনপি কেন, কেউ পারবে না। যদি সুশাসন দিতে পারে৷
প্রথম আলো - ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে কি না? সুশাসন চলছে?
জি এম কাদের - সুশাসন চলছে না। তবে শূন্যতা ভরাট হয়। শূন্য থাকে না।
প্রথম আলো - তবু একটা স্থিতি দেখা যাচ্ছে।
জি এম কাদের - এটা কবরের শান্তি।
প্রথম আলো - দ্রুত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান? তত্ত্বাবধায়কে, না অন্তর্বর্তীকালীনে?
জি এম কাদের - উপজেলা নির্বাচনের পরে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারণায় ফাটল ধরেছে।
প্রথম আলো - কেয়ারটেকার চান কি না?
জি এম কাদের - চলতি ব্যবস্থায় হবে না।
প্রথম আলো - শেখ হাসিনাকে রেখে হবে কি হবে না? হ্যাঁ বা না বলুন৷
জি এম কাদের - প্রধানমন্ত্রীর হাতে এত ক্ষমতা রেখে হবে না৷ তাঁকে নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী করতে হেব৷
প্রথম আলো - খালেদা জিয়া তাতে রাজি হবেন?
জি এম কাদের - রাজি না হলে দুর্ভাগ্য।
প্রথম আলো - আপনাকে ধন্যবাদ৷
জি এম কাদের - ধন্যবাদ৷

No comments

Powered by Blogger.