‘শহরের চেহারা হবে সবুজ এবং নীল’ —নজরুল ইসলাম

অধ্যাপক নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯৩৯ সালে, ফরিদপুর জেলার ভেদরপুর গ্রামে। পড়াশুনা— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে এমএ (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম)। এরপর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অনটেরিও, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ইউনিভার্সিটি ও লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে। ভিজিটিং স্কলার হিসেবে কাজ করেন কেমব্রিজসহ বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান।
২২ এপ্রিল ধরিত্রী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘গ্রিনসিটি’ বা সবুজ নগর। এ বিষয়কে ধরে কথা হয় এই নগরপরিকল্পনাবিদের সঙ্গে।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ ফারুক আহমেদমোহাম্মদ আসাদ

ধরিত্রী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘গ্রিনসিটি’ (সবুজ নগর)। বাংলাদেশের শহরগুলোর নিয়ামক হিসেবে সবুজের অবস্থান কোথায়?
নজরুল ইসল‍াম: গ্রিন সিটি বা সবুজ নগর—বাংলাদেশের জন্য খুব পরচিত ধারণা। আজ থেকে ৫০ বছর আগে আমাদের  শহরগুলো যে অবস্থায় ছিল সেগুলোকে আমরা সত্যিকারের সবুজ নগর বলতে পারতাম। আমাদের সবচেয়ে বৃহৎ শহর ঢাকায় প্রচুর গাছপালা ছিল। পুরনো ঢাকায় কখনই গাছপালা ছিল না, সেখানে শুধুই ভবন আর ভবন। কিন্তু ঢাকার দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মল কিছু জায়গা ছিল। তারও দক্ষিণে দিগন্ত বিস্তারী কিছু জায়গা কেরানিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ। ঢাকার অধিকাংশ জায়গাই সবুজ ছিল। সবুজ আর নীল, নীল মানে জলাশয়। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, রাজশাহী সবইতো ছিল সবুজ। এখনও রাজশাহী খুবই সবুজ। উদ্যান নগরীর মত। কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহও তাই। আমাদের শহরগুলো মূলত নিসর্গ নির্ভর। নদী-গাছপালা এই নিয়ে শহর ছিল। সে জন্য সবুজ নগর বা গ্রিন সিটি ধারণাটা আমাদে বোঝতে সহজ। কিন্তু জনসংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ১৯৪৮ সনে চার কোটি লোক ১৯৭১ হয়ে গেল সাত কোটি। ২০১১ সালে তা১৫ কোটি। এখন বোধহয় ১৬-১৭ কোটি। ১৬ কোটি মানুষের এতটুকু দেশ, এখানে নগরায়ণ হয়ে গেছে দেশের এক চতুরতাংশ জায়গায়। বড় শহর, মাঝারি শহর, ছোট শহর মিলিয়ে ২৮ ভাগ মানুষ নগরে থাকে। এর মধ্যে মাঝারি ও ছোট শহরগুলো এখনও সবুজ। বড় শহরগুলোতে সবুজ কমে যাচ্ছে।

সবুজ, গাছপালা কমে যাওয়ার কারণ কী?
নজরুল ইসল‍াম: এ নগরে ৫০ বা ৩০ বছর আগে যে পরিমাণ সবুজ ছিল এখন তা নাই। কারণ সকল প্লট নতুন নতুন নির্মাণে ভরে গেছে। দোতলা থেকে চার তলা, চারতলা থেকে ছয় তলা। এখন ১০,১৫ বা ২০তলা পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে, এটা হওয়াটা খুব সাভাবিক। ঢাকা শহরে ৭১’-এ জনসংখ্যা ছিল নয়, এখন ৯০ লক্ষ। তারপর প্রতি বছর পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ নতুন মানুষ প্রবেশ করে। এসে এরা এখানেই থেকে যায়। এদের আবাসন, কর্মক্ষেত্র লাগে। অর্থাৎ এদের জন্য নতুন নতুন বাড়িঘর তৈরি করতেই হবে, রাস্তা বানতে হবে। এসব কারণে যেটা হয়, খোলা জায়গা গাছপালা যেখানে আছে সেসব জমির ওপর। এখন রাজেন্দ্রপুর বনের মধ্যে সমস্ত নির্মাণ হচ্ছে। প্রথমে বাগানবাড়ি, তারপরে রিসোর্ট, তারপর হাউজিং অথবা ইউনিভার্সিটি। এই কারণে সবুজ কমে যাচ্ছে।

এর ফলে যে শঙ্কার তৈরি হচ্ছে, একেকটা নগর উদ্যানহীন-বৃক্ষশূন্যতায় রূপ নিচ্ছে। একজন নগর পরিকল্পনাবি হিসেবে আপনার মতে এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী বলে মনে করেন?
নজরুল ইসল‍াম: আমরা যদি সত্যি সত্যি বিশ্বাস করি যে শহর সবুজ থাকুক, তাহলে ওই ধারণা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। আমি একটা উদ্যান শহর তৈরি করব। নিসর্গভিত্তিক, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত; প্রচুর সবুজের সমারোহ রেখে একটা শহর তৈরি করতে হবে, এটা সম্ভব। লোকজনহয়তো বলবে ক্রমবর্ধমান মানুষকে জায়গা দেওয়ার জমি পাব কোথায়? সবুজ রেখে, আরো বেশি সবুজ সহযোগে বাড়িঘর করা যায়। সেটা হচ্ছে বহুতল ভবন নির্মাণ। আমাদের দেশে বসবাসের সর্বোচ্চ ভবন ২৮ তলা ৩০ তলা। বহুতলের বেশির ভাগই ২০ তলা বা তার কাছাকাছি। আমরা যদি হংকং, মুম্বাই, ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুরের দিকে দেখি, সেখানে কী দেখি? বেশিরভাগ আবাসিক ভবনই বহুতল। আমাদের দেশও সেই দিকেই যাচ্ছে। তবে আমাদের দেশে একাধিক বাধা আছে। একটা হলো বিদ্যুৎ, আরেকটা জ্বালানি আর গ্যাস ও পানি সরবরাহ। পানির ব্যাপারে অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভাগ্যবান। কিন্তু পানির উৎস বা নদী-জলাশয়লো আমরা ধ্বংস করছি। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার যে পদ্ধতিতে উৎপাদন করছে, সরবরাহ করছে, তা অতি উচ্চ মূল্যে। এখন পাঁচতলা ভবন যদি ৫০তলা হয় তা তো হবে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎনির্ভর। তা-না হলে পরিচালনা করা যাবে না। আমাদের জমির অভাব বলে এসব চিন্তা করতে হবে। ২০, ৩০, ৪০ তলা ভবন তৈরি করতে হবে। সৌদি আরব, দুবাই ইত্যাদি সুউচ্চ ভবন তৈরি করছে। তাদের তো জায়গার অভাব নেই। সিঙ্গাপুর সবচেয়ে ভালো মডেল, হংকং ভালো মডেল। এত উচ্চ ঘনত্ব, এরা উপরের দিকে উঠছে। এদের ভুমিটা সবুজ। আরেকটা হলো বহুতল সবুজও আছে। সেই ব্যাভিলনের শূন্যউদ্যানের মতো। এসব দেশে উ‍ঁচু ভবনে অ্যাপার্টমেন্টের বারান্দায় বা ব্যালকনিতে বা ছাদে সবুজের ব্যবস্থা রাখে। বনায়ণও হয় না, তবে সবুজে আচ্ছাদন হয়। শহরের চেহারা এটাই হওয়া উচিত। আমি বলব শহরের চেহারা হবে সবুজ এবং নীল। অর্থাৎ গাছপালা এবং জলাশয় এই দুটোকে রক্ষা করতে হবে। সবুজ বলতে সবুজে বুঝায় না, নিশ্চয় তারা জলাশয়কেও অন্তর্ভূক্ত করেছে। আরেকটা হলো বাদামি বা মটি। তাইলে সবুজ, বাদামি ও নীল এই তিনের সমন্বয়ে শহর তৈরি করতে হবে। সেইটা করতে গেলে বহুতল হতে হবে। এর বিকল্প নেই। বাংলাদেশ হলো আর্দ্র-ক্রান্তিয় এলাকা। একই অক্ষাংশে হলো সৌদি আরব, মিশর। তারা তো মরুভূমি। আমরা ভাগ্যবান, আমরা একই অক্ষাংশে থেকেও সবুজ। আমরা বৃষ্টিপ্রবন; কারণ আমাদের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে হিমালয়। এ কারণে বৃষ্টি পাই, উষ্ণ-আর্দ্র এবং বৃষ্টিপ্রবণ বলেই আমাদের দেশ এতো সবুজ। তা-না হলে সৌদি আরব হয়ে যেত, সিন্ধু হয়ে যেত। আমাদের এখানে গাছপালা হওয়া সহজ এবং স্বাভাবিক। এ কারণে আমরা শহর তৈরি করব গাছপালা এবং জলাশয়কে কেন্দ্রে রেখে। উন্মুক্ত জায়গা যত রাখা যায়, বনাঞ্চল যত রাখা যায়, সবুজ আচ্ছাদন যত রাখা যায়, নীল বা জলাশয় যত রাখা যায় ততই মঙ্গল।

প্রতিনিয়তই মহানগরে নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। অনেক সময় স্থপতি-প্রকৌশলীর পরামর্শ বা নকশ‍া ছাড়াই নতুন নতুন ভবন গড়ে উঠছে। গাছপালা তো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে ওঠা এই নগরে ভবন তৈরি ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন?
নজরুল ইসল‍াম: আমাদের জলবায়ুবান্ধব ভবন তৈরি করতে হবে, আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভবনাদি ডিজাইন করা প্রয়োজন। স্থাপত্যিক নকশা, ইঞ্জিনিয়ারিং নকশা এমনভাবে করা, যাতে আমাদের উষ্ণ তাপমাত্র, বৃষ্টিবহুলতা, ঝড়ো হাওয়া, সূর্যালোক ইত্যাদি জিনিসগুলো পরিকল্পনায় থাকে। আগে ছিল একরকম— ছোট, খোলামেলা বাড়ি, দক্ষিণটা খোলা হতেই হবে ইত্যাদি। আগে যেহেতু শীতাতপ যন্ত্র ছিল না, এমনকি ইলেকট্রিক পাখাও ছিল না। অতএব প্রাকৃতিকভাবে জলবায়ু বান্ধব, তাপবান্ধব ভবন হতো। এখন অনেক কিছু এসে গেছে, সুউচ্চ ভবন হচ্ছে। এখন আর্কিট্যাক্টরা এভাবেই নকশা করেন বা করতে পারেন। যদি জলবায়ুর ‍অবস্থাকে সম্পৃক্ত করে ডিজাইন করা হয় অর্থাৎ দিনের বেলায় সূর্যালোক পাবে ইলেক্ট্রিসিটি লাগবে না, আলো-বাতাস ভাল খেলবে, এইটা করতে গেলে শুধু বিল্ডিং ডিজাইন করলে হয় না। পুরো একটা এলাকা, এমনকী পুরো শহরটাকে চিন্তা করতে হবে। এখন যতোই একটা বিল্ডিং আলো-বাতাস প্রবেশ করবে তেমন বানানো হোক না কেন, তার চারদিকের বিল্ডিংগুলো যদি একই রকম না হয় তাহলে তো আটকে যাবে। কোন লাভ হবে না। এজন্য এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন— সিঙ্গাপুর করে, অন্যান্য উন্নত দেশে করে।

সেক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে?
নজরুল ইসল‍াম: পুরো শহরটাকে পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে। শহরের বিভিন্ন অংশকে যেমন— ধানমন্ডি একটি আবাসিক এলাকা বা মহল্লা অথবা বনানী একটা মহল্লা। ইংরেজিতে এসব এলাকা বা মহল্লাকে বলে মডেল টাউন। বনানীকে বলা হয়েছিল মডেল টাউন, ধানমন্ডিকে বলা হয় রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া। গুলশান, বারিধারা, উত্তরা মডেল টাউন। পুরো এলাকাকে একটি টাউন হিসেবে চিন্তা করা হয়েছে। তাহলে এর আর ছোট থাকে না। তাছাড়া জনসংখ্যাও তো বাড়ছেই দিন দিন। ফলে গোটা এলাকাটা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। এলাকার ভিতরে আবার ব্লক, ছোট ছোট মহল্লা, ছোট ছোট এলাকা। চারটা রাস্তা দিয়ে ঘেরা যে এলাকা সেটা একটা ব্লক। সেই ব্লকটাকে একক চিন্তা করে প্লান করতে হবে। সেখানে হয়তো ১৬টা প্লট; সেই ১৬টা প্লটের জন্যও প্লান হতে পারে। অথবা চারটা ব্লক বা ৬৪টা প্লটের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা হতে পারে। সেখানে ছোট্ট একটি মাঠ থাকবে, গাছপালার সমারোহ থাকবে। মূল উদ্দেশ্য হলো পর্যাপ্ত খালি জায়গা রাখতে হবে। পর্যাপ্ত চলাচলের জায়গা রাখতে হবে, রাস্তা-ঘাট এবং তার আশপাশ পর্যাপ্ত সবুজ রাখতে হবে। প্রত্যেকটি এলাকায় পর্যাপ্ত জলাশয় রাখতে হবে। যা আগে ছিল। কুমিল্লাকে বলা হতো ‘সিটি অব ব্যাংকস এন্ড ট্যাঙ্কস। কুমিল্লার নামই ছিল পুকুর এবং ব্যাংকের শহর। কেননা পুকুর খনন করে করে শহরটাকে তৈরি করা হয়েছে। অনেকগুলো ব্যাংক ছিল এই শহরে। মানে সমৃদ্ধ শহর। ঢাকার শহরেও অসংখ্য পুকুর ছিল। প্রত্যেকের বাড়িতেই একটি করে পুকুর ছিল বড় লোকদের। সবার জন্য ছিল লেক। ছিল অনেকগুলো খাল।

তার মানে এই মহানগরের চেহারা গত ৫০ বছরে আমূল বদলে গেছে। সবজশূন্য, ন্যাড়া-কংক্রিটময় এক শহরে পরিণত হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী বা বাসযোগ্য এক শহরের রূপ দিতে কাকে দায়িত্ব নিতে হবে?

নজরুল ইসল‍াম: নির্মাণাদিসহ পুরো শহরের পরিকল্পনার দায়িত্বে আছে রাজউক। রাজউকের একক দায়িত্ব গোটা শহরের পরিকল্পনা বা মাস্টার প্লান তৈরি করা । তা সে নিজেরা করুক অথবা কনসাল্টেন্ট দিয়ে করাক। কিন্তু তার অধীনে হবে। প্রতিষ্ঠানটির নামই হচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ। তারা এই উন্নয়ন করবে কীভাবে,কী পরিকল্পনার মাধ্যমে।
তার বড় একটা বিভাগ হলো পরিকল্পনা বিভাগ, আরেকটা বিভাগ হলো নির্মাণ বিভাগ অথবা জমিজমার বিভাগ। রাজউকের সর্বোচ্চ, প্রধান এবং মৌলিক দায়িত্ব হলো ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য রাখার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন। রাজউক যেন সেই কাজটি করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তিশালী হয়, ক্ষমতাবান হয় এবং দক্ষ হয়। সেখানে পর্যাপ্ত পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী থাকতে হবে। পকিল্পনাগুলো আন্তরিকভাবে, স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতির আশ্রয় নিলেই সর্বনাশ, যেটা হয়েছে। কারণ পরিকল্পনা সঠিক হতে হবে, আবার বাস্তবায়নও সঠিক হতে হবে। তারা নিজেরা বা প্রাইভেট সেক্টর অথবা মলিকরা ব্যাক্তিগতভাবে, যারাই ডেভল‍াপ করবে। তারাই ওই এলাকায় কী নিয়মকানুন হবে, তার প্লানিং করে দিবে রাজউক। শহরে কোন এলাকায় কী ধরনের বাড়ি হবে, তাও বলে দিবে রাজউক। রাজউক যদি বলে এই এলাকায় ছয় তলার বেশি হবে না, সেখানে ছয় তলার বেশি হবে না। সেখানে সাততলাও করা যাবে না। রাজউক যদি বলে এই এলাকায় ১০ তলাই হবে, (কোরিয়ার সিউলে নিয়ম হলো আমাদের উল্টো, সেখানে কেন্দ্রীয় এলাকায় ১৫ তলার নিচে কোন বিল্ডিং হতে পারবে না। আর আমাদের এখানে ১৫ তলার ওপরে  হতে পারবে না। আমাদের দেশে এমন হওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রীয় এলাকায় ২০ তলা ৩০ তলা হলে ভালো। যে পারবে সে নিজে করবে। যে পারবে না সে জমি রাজউককে দিয়ে দিবে। রাজউক সেটা বিল্ডিং বানিয়ে তাকে ভাগ দিয়ে দিবে)। এই গোছানোর দায়িত্ব রাজউকের, সরকারের।

No comments

Powered by Blogger.