প্রথম স্ত্রী অনন্যার বাসায় পুলিশ পাঠালেন আরফিন রুমি

প্রথম স্ত্রী অনন্যার বাসায় পুলিশ পাঠালেন হালের অন্যতম আলোচিত ও সমালোচিত সংগীত শিল্পী আরফিন রুমি। জানা গেছে, আজ দুপুরে চার সদস্যের পুলিশের একটি টিম অনন্যার বাসায় যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় সার্চ ওয়ারেন্ট।
জানানো হয়, রুমি ও অনন্যার মধ্যে যে আপসনামা স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা উদ্ধারে তারা এসেছে। পরে আপসনামা ছাড়াই চলে যায় পুলিশ টিম। বলে যায় আপসনামা না পেলে অনন্যার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। এ প্রসঙ্গে অনন্যা বলেন, ২৪শে ডিসেম্বর আদালতে শুনানির পর কোনো রকম ইতিবাচক সাড়া দেয়নি রুমি। আদালতে সেদিন জানানো হয়েছিল আমাকে ও সন্তান আরিয়ানকে নিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চায় সে। এজন্য কিছু শর্তও রাখে রুমি। এমনকি সেদিন বেশ কয়টি অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়। যেখানে জানানো হয় একে অন্যের শর্ত মেনে নতুন করে জীবন শুরু করতে যাচ্ছে রুমি-অনন্যা। অথচ আমাদের বাসায় বংশাল থানা পুলিশের একটি টিম এসে হাজির। রুমি আমাদের বিরুদ্ধে আপসনামা উদ্ধারের মামলা করেছে। যা আমাকে সত্যিই অবাক করেছে। রুমি এবং তাদের পরিবার জানিয়েছে, যে আপসনামা করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যে। এমনকি আমরা নাকি তাকে জোর করে ওই চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিলাম। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে অনন্যা আরও বলেন, গত ১২ই অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করার পর রুমি ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তাদের পরিবার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। দেয়া হয় হুমকি-ধামকি। একপর্যায়ে উপায় না দেখে আমাদের বাসায় এসে অনুনয় বিনয় করতে থাকে তার মা ও ভাবি। তখন আমাদের মধ্যে এ আপসনামাটি হয়। মূলত এর উপর ভিত্তি করেই আদালতে জামিনের দরখাস্ত করেন রুমির উকিল। তবে এটাও জানানো হয়, চুক্তি অনুযায়ী শর্ত না মানলে আমি আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবো। স্বাক্ষরটি রুমির কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, প্রশ্নই উঠে না। বরং, রুমির পরিবার অনেক অনুনয় বিনয় করে আমাদের বাসায় আপসের প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এমনকি এসব শর্তাবলি লেখার সময় সিডি চয়েজের এমদাদ, প্রিন্স, কাজী শুভ, ইলিয়াস, খেয়া, আরমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রুমির ব্যান্ড দলের মামুন, লিটন ও শান্তরাও ছিলেন। এরাও এ শর্ত সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। এছাড়া এ মুহূর্তে রুমির এ কথা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, আদালতে বিগত শুনানিগুলোতে রুমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শিগগিরই সে শর্তগুলো পূরণ করবে। উল্লেখ্য, এ আপসনামায় লেখা ছিল, সন্তান আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে, যা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখা হবে। এছাড়া অনন্যার সঙ্গে সে আর খারাপ ব্যবহার করবে না। অধিকার দেবে স্ত্রীর প্রকৃতি মর্যাদার। এ বিষয়ে জানার জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করা হয় রুমির মুঠো ফোনে। কিন্তু রিং হওয়ার পরও মুঠোফোনের অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.