কার্যালয়ে খালেদার একাকী একঘণ্টা

পুলিশী বাধার কারণে নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতিতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী একাকী সময় কেটেছে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার। গতরাতে এমন ঘটনা ঘটেছে।
রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। আগে থেকেই সেখানে পুলিশ ছিল সতর্ক অবস্থানে। কার্যালয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। খালেদার বাড়ি থেকে তার সঙ্গে থাকা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানাই কেবল ঢোকার সুযোগ পান কার্যালয়ে। ফলে নিজ কার্যালয়ে একাকী বসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর মধ্যেই রাত ১০টার দিকে গুলশানের ওই কার্যালয়ে যান সাংবাদিক নেতারা। কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রথমে আটকালেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভেতরে ঢুকতে দেয়। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য খোরশেদ আলম ও বাসির জামাল। পরে রাত ১২টার দিকে তিনি কার্যালয় থেকে গুলশানের বাসায় ফিরে যান। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ও রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়। এক পর্যায়ে দুই ভবনের ফটকের সামনে বেষ্টনি তৈরি করে পুলিশ। এরপর থেকে দুই ভবনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। এমন কি দলের কয়েকজন প্রবীণ নেতাকে আটকের পর বাসায় পৌছে দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়দিনের মতো গতকালও কড়াকড়ি বজায় রাখে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে যাওয়ার পর সেখানে যান দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা আহমেদ। তারা কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এমনকি অফিসকর্মীদেরও যাতায়াতে বাধা দেয়া হয়। তখন তারা সেখানে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আপনারা চলে যান অন্যথায় আমরা আপনাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবো। পরে তারা চলে যায়। এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কার্যত গৃহবন্দি। এখন বিরোধী দলের কোন নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। আগামী মাসের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য তিনি যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে তাকে কার্যত গৃহবন্দি করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার স্বার্থেই পাহারা জোরদার করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.