কেন সবকিছু এত এলোমেলো? by বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জনতা ব্যাংকের স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ সম্পর্কে গত পর্বে লিখেছিলাম। মনে হয় দু’চারজনের মাথায় আসমান ভেঙে পড়েছে।
আবার বহু মানুষ জানিয়েছে তাদের নাকি ওসব জানা ছিল না। আমাদের সমস্যা হলো যা জানি তাই যে জগৎ নয় আরও কিছু থাকতে পারে তা ভাবতেই চাই না। বাংলাদেশের একজন নামকরা চলচিত্র শিল্পী জামালপুরের আনোয়ার হোসেন পূর্ণ বয়সে সেদিন ইহলোক ত্যাগ করলেন। একেবারে থাকা-খাওয়ার কষ্টে শেষ জীবন না কাটলেও ওরকম উচ্চ পর্যায়ের একজন শিল্পীর যে সামাজিক আর্থিক পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার কথা তার কিছুই ছিল না। ক’দিন আগে আবদুর রহমান বয়াতি মারা গেছেন। খুবই কষ্টে মারা গেছেন তিনি। জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল শেষের দিকে তার কিছুটা সেবাযত্ন করেছে, চিকিৎসা করেছে। ছ’মাস আগেও জানতাম জাপান বাংলাদেশ বন্ধুত্ব হাসপাতাল, জাপানের সহায়তার কোন প্রতিষ্ঠান। পরে শুনেছি ওইসব সরকারি কিছু না, সবই ব্যক্তিমালিকানাধীন, শুধু নামের কারবার। কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত কোন এক ফ্লাইট লেফটেন্যান্টকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুই কোটি টাকা চিকিৎসা সাহায্য বরাদ্দ করেছেন। গরিব দেশের প্রধানমন্ত্রী কারও জন্য চিকিৎসা সাহায্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। কিন্তু বড় খারাপ লাগে দুর্যোগ দুর্বিপাকে যখন হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়, সেই দুর্গত এলাকায় ২০-৫০ বান্ডিল টিন, ৫-৭ টন চাল আর ২-৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সে কারণে অত বিপুল অর্থ চিকিৎসা সাহায্য বরাদ্দের কথা শুনে আঁতকে উঠেছিলাম। একজন অতি সাধারণ সেকেন্ড লেফটেন্যান্টের চিকিৎসায় যে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের সরকার প্রধান দুই কোটি টাকা অর্থ সাহায্য বরাদ্দ করেন, সেই রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রের জন্মের বেদনার সঙ্গে জড়িত কারও চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকাও বরাদ্দ করেননি। জননেতা আবদুর রাজ্জাক যখন অসহায়ের মতো লন্ডনে পড়েছিলেন তার পরিবার পরিজন সামান্য অর্থের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে, কারও চিৎ হাত উপুড় হয়নি। সরকার একদিনের জন্যও কোন কানাকড়ি সাহায্য করেনি। শুনেছি জনাব মোহাম্মদ আবদুল জলিলের মার্কেন্টাইল ব্যাংক তড়িঘড়ি তার জন্য দুই-তিন কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছিল। সেই টাকা যদি ভবিষ্যতে আরও আট কোটি ধরে টাকা দেয় তখন জনাব আবদুর রাজ্জাকের বংশ বুনিয়াদের ঋণ শোধ করা খুব সহজ হবে না। শুনেছিলাম সিংহহৃদয় মোহাম্মদ আবদুল জলিল ব্যাংক থেকে, সম্ভব না হলে নিজের বিষয় সম্পত্তি থেকে জননেতা আবদুর রাজ্জাকের চিকিৎসার ঋণ শোধ করে দিতে চেয়েছিলেন। জনাব আবদুল জলিলও এখন চলে গেছেন। সে ঋণ যদি এখনও থেকে থাকে তাহলে কে শোধ করবে? যদিও আওয়ামী রাজনীতির ধারা মোটামুটি বহাল রয়েছে। বাপ মরলে ছেলে বা স্ত্রীকে নমিনেশন দিয়ে দায়সারা, সেটা জননেতা আবদুর রাজ্জাকের ক্ষেত্রেও হয়েছে। তার ছেলে আমার প্রিয় ভাতিজা নাহিম রাজ্জাককে মনোনয়ন দিয়ে সংসদে আনা হয়েছে। নিরুত্তাপ সংসদে তার একবার বক্তৃতাও শুনেছি। অন্যদিকে গাজীপুরের বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের ছেলে সোহেল তাজের ত্যাগ করা আসনে সিমিন হোসেন রিমিকে নির্বাচিত করে পরিবারে ফাটল ধরানো হয়েছে। এ হলো আওয়ামী লীগের চিরকালের কারবার। যখন সমস্যাগুলো খুব বড় আকারে সামনে আসে তখন আর এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তাই দু’চার কথা বলি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলে হয়তো এগুলো বলতে যেতাম না।
বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র শিল্পী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু নিয়ে দু’কথা বলা প্রয়োজন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক’দিন আগে আনোয়ার হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। তার কাঁধ খুবই শক্ত, তাই সবকিছুর দায়িত্ব নেন। কিন্তু কাঁধে তোলার আগেই জনাব আনোয়ার হোসেন ইহজগৎ থেকে চলে গেলেন। বয়স হয়েছিল, গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকার চাইতে সম্মানের সঙ্গে আল্লাহর কাছে চলে যাওয়াই ভাল। তাই তিনি চলে গেছেন। আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে যখন যেখানে থাকবেন পরম প্রভু আল্লাহই তাকে দেখাশোনা করবেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে আনোয়ার হোসেন, নায়ক রাজ্জাক, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, শাহনাজ রহমত উল্যাহ, আবদুল আলীম খুবই আলোচিত ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি। আমি চাই না, ভাবিও না সবাই প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হবেন। কিন্তু তবুও পক্ষে থাকলে ভাল হতো। বাংলার মহাকবি শামসুর রহমান যার কবিতা আমাদের উজ্জীবিত করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতারে যখন বারবার উচ্চারিত হতো ‘স্বাধীনতা তোমাকে পাবার জন্য আর কতকাল ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়।’ কবি শামসুর রাহমান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করতে পারেননি, করেনওনি। তার কবিতা আবৃত্তি করে আমরা যে মহাশক্তি পেয়েছি তিনি আমাদের পাশে থাকলে হয়তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অমর কবিতা রচনা করতে পারতেন। তিনি আমাদের সঙ্গে থাকতে না পারলেও তার শক্তি, সাহস, তার সৃষ্টি আমাদের হাতে দুর্জয় অস্ত্র হয়েছিল। তিনি পাকিস্তানের পদলেহন করেননি। কিন্তু অধ্যাপক কবীর চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার পরও আমরা তাকে স্বাধীনতা পদক দিয়েছি, বাংলা একাডেমী পদক দিয়েছি, জাতীয় অধ্যাপক বানিয়েছি। অন্য কোন জ্ঞানী-গুণী ত্যাগী মানুষ পাইনি। শিল্পী আনোয়ার হোসেন জামালপুরের মানুষ। সত্তরের দশকে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবির মাধ্যমে অনেকটাই নবাব হয়ে গিয়েছিলেন। এম.আর আখতার মুকুলের ‘চরমপত্র’ মুক্তিযুদ্ধে বিসুবিয়াসের মতো হানাদারদের উপর আঘাত হেনেছে। সেখানে আনোয়ার হোসেন থাকলে তার কণ্ঠ স্বাধীন বাংলা বেতারে শোনা গেলে, আকাশবাণীতে ঝংকৃত হলে আমার বিশ্বাস আরও ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা হতো। ১০০ গ্রাম হানাদারদের জ্বালাও পোড়াওয়ের হাত থেকে বেঁচে যেতো। নায়ক রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আছেন এটা দেশের মানুষ জানলে তার ভক্ত আরও ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা হতো। আমরা যদি ফারুক আহমেদ, আবদুল আলীম, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, শাহনাজ রহমত উল্লাহর মতো নামীদামি শিল্পীদের পেতাম তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ভিত আরও শক্ত হতো। কিন্তু তাদের পাই নাই। আজ যে যত কথাই বলুন, কবরী সরোয়ারকে নিয়ে যে যত কথাই বলুন ২৫শে মার্চ হানাদার পাকিস্তানিদের আক্রমণ নিয়ে কলকাতায় যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তা বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছিল, সারা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছিল। কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলীর স্ত্রী আবেগময়ী করুণ কণ্ঠে ঢাকার ধ্বংসযজ্ঞের যে বর্ণনা দিয়েছিলেন তা ছিল অসাধারণ। কবরী সরোয়ার এবং হোসেন আলীর স্ত্রী’র সেটা যদি আন্তরিক না হয়ে মেকি অভিনয় হয়েও থাকে তাও তা ছিল সে সময় জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ। জানি না কি কারণে আনোয়ার হোসেন, নায়ক রাজ্জাক স্বাধীনতার পর তাদের সেই অভাবনীয় অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি। তবে সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা ও অন্যরা যুদ্ধের সময় না পারলেও যুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশকে তাদের সুরের মূর্ছনায় বহুদিন জাগিয়ে রেখেছিলেন। এখনও তাদের কণ্ঠ, তাদের সুর, মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে ‘সব ক’টি জানালা খুলে দাও না, ওরা আসবে, আমরা তোমাদের ভুলবো না’-এসব গান সারা জীবন বাঙালি হৃদয় স্পর্শ করবে।
পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের উপযুক্ত শিষ্য আবদুল আলীম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি। দেশেই ছিলেন। সারাজীবন যে গান গাইতেন যুদ্ধের সময়ও সেই ধরনের গান গেয়েছেন। সে কারণে স্বাধীনতার পর ভীষণ দুর্যোগে পড়েছিলেন। কি কারণে যেন হঠাৎ একদিন আমার মোহাম্মদপুরের বাড়িতে এসেছিলেন, দুর্ভাগ্যের জন্য কাঁদছিলেন। কয়েক মাস কোন প্রোগ্রাম পাননি, সে কারণে বাড়িতে টাকা-পয়সা নেই, খাবার নেই, ভীষণ বিপদে আছেন। তার ওপর কোলাবরেটর বলে যদি গ্রেপ্তার করে সে তো আরও বিপদ, তাই এসেছিলেন। একজন ছোট মানুষ, তখন আরও ছোট ছিলাম। মা আবদুল আলীমের গান খুব পছন্দ করতেন। খালি গলাতেই সেদিন তাকে ৩-৪টা গান শুনিয়েছিলেন। মনে হয় আবদুল আলীমের হাতে কিছু টাকা দিয়ে আশ্বস্ত করে বিদায় করেছিলেন। তিনি চলে যেতে যেতেই মা বলেছিলেন তার গান গাওয়ার ব্যবস্থা করো। দু’তিনদিন পর তাকে নিয়ে গণভবনে গিয়েছিলাম। আলীম ভাইকে নিয়ে গেছি শুনে বঙ্গবন্ধু খুব খুশি হয়ে যুত করে বসে তার গান শুনছিলেন। আপেল মাহমুদ, আবদুল জব্বার, সরদার আলাউদ্দিন মাঝে মাঝেই বঙ্গবন্ধুকে গান শোনাতেন। এর মধ্যে আবদুল জব্বার ছিলেন পাগলপ্রায়। তার কোন সময় গময় ছিল না। বঙ্গবন্ধুও তাকে ভীষণ ভালবাসতেন। তার কণ্ঠ মুক্তিযুদ্ধে অসম্ভব শক্তি যুগিয়েছে। সালাম সালাম হাজার সালাম, মুজিব বাইয়া যাও রে- এসব গানে বাংলার তরুণরা স্বাধীনতার জন্য মাতাল হয়ে উঠতো। গান শেষে আবদুল আলীমের অসুবিধার কথা শুনে সেই দিনই তাকে বাংলাদেশ বেতারে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেসব দিনের কথা ভাবলে আজকাল স্বপ্নের মতো মনে হয়। কথাগুলো বলছি এই কারণে যে, আমরা কোন কিছুই সঠিকভাবে বিচার করতে চাই না।
সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ঠকানো হয়েছে বিশেষ করে বীরত্বসূচক খেতাব দেয়ার ক্ষেত্রে। কারও খেতাব নিয়ে আমার কোন অসন্তুষ্টি নেই। কিন্তু যা খুশি তাই করায় কিছু আপত্তি তো থাকেই। মুক্তিযুদ্ধটা ছেলেখেলা ছিল না। এখন অনাবিল শান্তির সময় হওয়ার কথা ছিল, তাও বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগ নিরাপদ নয়, আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপি, জামায়াতের কাছে তো কেউ নয়। তবে কি  মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবা-মা পাকিস্তানের সরকারের বেতনভোগী আর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা এরকম সহাবস্থানের কোন সুযোগ ছিল না? কবি বুলবুল খান মাহবুব, কাজী আতোয়ার রহমান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশ নিয়ে জাতির কাছে কিছু পেলো না। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক কত রঙ বেরঙের পদক যারা না ঘর কা না ঘাট কা তারা পেয়ে পকেট ভারি করেছে। বয়স হওয়ার কারণে কারও ভ্রূকুটিকে ভয় করে এখন আর সত্যকে চেপে রাখতে পারি না। বর্তমান আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের মহানেতা নাসির উদ্দিন বাচ্চুকে জনাব জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ডেকে এনে তৎপর করেছিলেন। তার সেদিনের সেই তৎপরতা এখন আওয়ামী জোটে প্রবেশ করেছে। এটা কতক্ষণ থাকবে স্রষ্টাই জানেন, আমরা সৃষ্টি তার কিছুই জানি না।
আগামী দিন দেশের অবস্থা কি হয় তা নিয়ে জাতি ভীষণ শঙ্কিত। মাসখানেক আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঝাঁঝালো সুরে বলেছিলেন, ‘এত কাজ করলাম তারপরও যদি ভোট না দেয় না দিবে। আমরা তো আর চুরি করতে পারবো না। ওটা আমাদের কাজ নয়, ওটা বিএনপির কাজ।’ আবার এই সেদিন বলেছেন, ‘প্রার্থী পছন্দ না হয় না হবে। আপনারা নৌকা দেখে ভোট দিবেন।’ এটা একটা কথা? পছন্দ না হলেও ভোট দিতে হবে। নৌকায় ভোট দিলে কি বেহেস্তের দরজা আপনা আপনি খুলে যাবে? কোন জমিদারও তার প্রজাদের এভাবে না হক কথা বলতে সাহস করে না। আবার প্রিয় ভাগিনা নছিয়ত করেছে, আওয়ামী লোকজনেরা যাতে বেশি বেশি মসজিদে যায়। তাহলে বুঝতে হবে ঠেলার নাম জশমত আলী মণ্ডল। বেশি বেশি মসজিদে গিয়ে কি হবে খ্রিস্টিয়ান বিয়ে করা প্রিয় ভাগিনা? তাহলে মহাজোটেরও শেষ পর্যন্ত আল্লাহ-রাসুলের দরকার আছে। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে রাস্তাঘাটে দাড়িটুপি পরা মানুষদের যে শঙ্কিত দেখি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলেও বোধহয় মুসলমানদের এত শঙ্কায় থাকতে হয় না। দেশটা কেন জানি না মুসলমানের জন্য নিরাপদ মনে হয় না। এটা ভাল কথা নয়, ভাল কাজ নয়।

No comments

Powered by Blogger.