সেনোভেশন ২০১৩, আইইউটি, গাজীপুর প্রযুক্তির পরশ by আনিকা তাসনীম

সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতায় তারা একদিকে গড়ে তুলল প্রাসাদ, অট্টালিকা; গড়ে তুলল শিল্প-কারখানা, গ্রাম ছেড়ে তারা মুখ ঘুরিয়ে নিল শহরের দিকে, আর তা করতে গিয়েই কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ প্রকৃতির ওপর চালাল নিষ্ঠুর নির্মমতা।
এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছে পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখতে।
সভ্যতা ও পরিবেশের মেলবন্ধন ঘটানোর লক্ষ্যেই গত ৩১ মে-১ জুন গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজন করল ‘সেনোভেশন ২০১৩’।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই পরিবেশ দিবসের প্রাক্কালে আয়োজিত হলো এ উৎসব, যার উদ্বোধন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, আইইউটি, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ মোট ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০০ মেধাবী শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মুখরিত এ উৎসবটি সাজান হয়েছিল ছাত্রদের ভেতর যে অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, তা আবিষ্কার করার লক্ষ্য মাথায় রেখেই।
অনুষ্ঠানটির সংগঠক আইইউটির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নাবিল রহমান বলেন, ‘সিভিল আর পরিবেশের ইনোভেশন (নতুনত্ব)—এই দুই শব্দ মিলেই নামকরণ করা হয়েছে সেনোভেশন। প্রকৌশল ও পরিবেশের মাঝের বৈপরীত্য দূর করে এই দুই বিষয়কে একই ছাদের নিচে রেখে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা টেকসই উন্নয়ন এমনভাবে নিশ্চিত করতে চাই, যাতে পরিবেশের কোনো রকম ক্ষতি না হয়।’
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল পোস্টার উপস্থাপনা, প্রজেক্ট প্রদর্শনী, মেকানিকস অলিম্পিয়াড, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কুইজ প্রতিযোগিতা, কেস স্টাডি বিশ্লেষণ প্রতিযোগিতা, ক্যারিয়ার মেলা এবং পরিবেশবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
কথা হলো মেকানিকস অলিম্পিয়াডে প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত বুয়েটের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে, ‘আমি অনেক খুশি এবং আনন্দিত, এ ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে বরাবরই অনুপ্রাণিত করে।’
এ দেশের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে গড়ে তুলবে একটি সবুজ দেশ, সবুজ পৃথিবী, সেনোভেশনের মূল বার্তা এটাই।

No comments

Powered by Blogger.