আজ রাজধানীতে বিরোধী জোটের মানবপ্রাচীর

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে মানবপ্রাচীর তৈরি করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোতে একই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
‘শান্তিপূর্ণ’ এই কর্মসূচি পালনে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে বিরোধীদলীয় এই জোট। গতকাল সোমবার ১৮ দলের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টার এই কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকায় মহাখালী উড়ালসড়কের নিচ থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত সড়কের এক পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মানবপ্রাচীর তৈরি করবেন নেতা-কর্মীরা।
এদিকে এক ঘণ্টার এ কর্মসূচির সময়সীমা প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে। দলীয় একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, আজ ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির ধার্য তারিখ রয়েছে। এ মামলায় আজ তাঁর আদালতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তিনি আদালত থেকে না ফেরা পর্যন্ত মানবপ্রাচীর কর্মসূচি চলতে পারে।
মানবপ্রাচীরের পথ: মহাখালী উড়ালসড়ক থেকে মানবপ্রাচীর শুরু হবে। এরপর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, সাতরাস্তার মোড়, মগবাজার মোড় হয়ে রমনা থানার সামনে দিয়ে কাকরাইল মোড়-মৎস্য ভবন-শিক্ষাভবন-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-গুলিস্তান মাজার-ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড-বংশাল-মালিটোলা-ধোলাইখাল চৌরাস্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় গিয়ে শেষ হবে।
গণজাগরণের আশা: মানবপ্রাচীর কর্মসূচি সফল করতে বিরোধী দল নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিএনপির সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই কর্মসূচিতে সারা দেশে গণজাগরণ তৈরি হবে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।’
তরিকুল আরও বলেন, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজ হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি না দেওয়ার কথা বলেন। বিএনপি মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগের মতো ‘নিরীহ’ কর্মসূচি দিচ্ছে। মানবপ্রাচীরও নিরীহ কর্মসূচি। তিনি দাবি করেন, এসব কর্মসূচিতে হাজার-লাখো মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। কিন্তু সরকার স্বৈরাচারী মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসছে না। ব্যবসায়ী নেতারা আওয়ামী লীগ দলীয় ও সুবিধাভোগী বিধায় তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলছেন না।
এ ছাড়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানান বিএনপির সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ মূর্তিমান আতঙ্ক। ওদের দেখলে শয়তান পর্যন্ত ভয় পায়। মানুষ এই মূর্তিমান আতঙ্ক থেকে মুক্তি চায়।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, সদস্যসচিব আবদুস সালামসহ ১৮ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.