সিলেটে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে একই পরিবারের ৮ জনসহ নিহত ১৩ by সাব্বির আহমেদ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেঁতলি এলাকায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৮ জনসহ ১৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামাল বাজার এলাকায়।
নিহতরা একটি হত্যা মামলার জামিন নিয়ে রাতে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছায়। এরপর সিলেট রেল স্টেশন থেকে মাইক্রোবাসে করে তারা আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল।
নিহতরা হলেন- ওয়ারিস মিয়া (৬০), স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৫৫), বড় ছেলে বাবুল মিয়া (৪০), বাবুল মিয়ার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩০), ওয়ারিস মিয়ার মেয়ে সুফিয়া বেগম (২৬), মেয়ের স্বামী আব্দুল করিম (৩২), তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০), শ্যালক রফিক মিয়া (৩২), নাতি আল আমিন (১২) ও সালমা (৯), দক্ষিণ সুরমার চৌধুরী গাঁও এর গাড়ি চালক ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই জনের নাম জানা যায়নি।

এ পরিচয়গুলো বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন নিহত ওয়ারিস মিয়ার ভাতিজা রফিক মিয়া।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে আসা গ্রামীণ পরিবহনের যাত্রীরা সবাই শাহজালাল মাজারে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
sylhet-Accedint
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: আইয়ুব বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী এবং সিলেটের বাসিন্দা। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

আহতদের কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন এদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া গ্রামীণ পরিবহনের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ জনের লাশ ঘটনাস্থলেই রয়েছে এবং ১ জনের লাশ সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.