উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা-নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত হোক

দশটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ মঙ্গলবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি এবং সমমানের আলিম ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থী প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার, গত বছরের তুলনায় যা ৪৩ হাজারের কিছু বেশি। এটা সুলক্ষণ।


রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্যে মিলেছে আরও একটি ভালো খবর_ আটটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে মোট পরীক্ষার্র্থীর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার এবং ছাত্রী প্রায় ৩ লাখ। পরীক্ষার্থীদের এ ধরনের জেন্ডার ভারসাম্য উৎসাহব্যঞ্জক। শিক্ষায় নারীরা পুরুষের সঙ্গে প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলেছে_ এ তথ্য যে যথার্থ, তার স্বীকৃতি পাওয়া গেল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের তথ্য থেকে। আমরা পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনা করি। তাদের কৃতিত্বে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, এটাই তো সবার প্রার্থনা। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পরীক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করবেন বলে আমরা আশা করি। একাধিক শিক্ষক সংগঠন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের না যেতে অনুরোধ করেছে। তাদের এ আবেদনের যৌক্তিকতা রয়েছে বলেই আমরা মনে করি। পরীক্ষায় মনোসংযোগ বিঘি্নত হতে পারে, এমন কোনো কিছু করা বাঞ্ছিত নয়। বহু বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এলেই নকল নিয়ে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হতো সর্বমহলে। গত কয়েক বছর এ ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষের ভেতরে ও বাইরে পাঠে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগী হয়েছে এবং এর শুভ প্রভাব পড়ছে পরীক্ষার ফলে। পাসের হার বাড়ছে। এ হার আরও বাড়িয়ে শতভাগে পরিণত করতে হবে। একইসঙ্গে বাড়াতে হবে মান। এ জন্য শিক্ষার্থীদের যেমন, তেমনি শিক্ষকদের দায়িত্বও যথেষ্ট। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ফলের ওপরেই ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং চিকিৎসা ও প্রকৌশলসহ সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন বহুলাংশে নির্ভর করে। এটা কোনোভাবেই ভুললে চলবে না যে, এ পর্যায়ে প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকলে তার প্রভাব হয়ে থাকে সুদূরপ্রসারী। এতে শিক্ষার্থীদের যেমন ক্ষতি, তেমনি দেশেরও।
 

No comments

Powered by Blogger.